চাহিদা বিপুল। কিন্তু আইনের বাধায় ‘জোগান’ নেই। হোলির আগে শুখা রাজ্য বিহারে তাই বেআইনি রমরমা মদ-মাফিয়াদের। বেশি মুনাফা রেখে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে হরিয়ানা, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গের লেবেল লাগানো বিদেশি মদের বোতল।
একেবারে নির্দিষ্ট ঠিকানায় ‘হোম ডেলিভারি’ করে দিচ্ছে কুরিয়র বয়রা। সূত্রের খবর, এ বার বিহারের হোলিতে একশো কোটি টাকার মদ বিক্রির সম্ভাবনা দেখছেন অবৈধ মদ ব্যবসায়ীরা।
এক দিকে ছোট মদ ব্যবসায়ীরা বোতল কিনে স্টক করছেন। অন্য দিকে, বড় ব্যবসায়ীরা ট্রাক ও কন্টেনারে করে ভিন রাজ্য থেকে মদের জোগান দিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই নিত্যনতুন রুট খুঁজে বের করা হচ্ছে। সেই রুটেই সিন্ডিকেট করে বিদেশি মদের নানা ব্র্যান্ড ঢুকছে। ট্রেনে চাপিয়েও মদ নিয়ে আসছে ব্যবসায়ীরা। বারবার অভিযান চালিয়েও কোনও ভাবেই মদ মাফিয়াদের রুখতে পারছে না পুলিশ।
দিন কয়েক আগে পটনার কঙ্করবাগে একটি বাড়ির গ্যারাজে ‘বার’ চালানোর অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়। সেখানে ঠাণ্ডা পানীয় মিশিয়ে তিনটি ব্র্যান্ডের মদ দেওয়া হচ্ছিল। শুধু পটনা নয়, সিওয়ান থেকে গয়া পর্যন্ত প্রায় সর্বত্রই চড়া দাম দিলেই হাজির হচ্ছে পানীয়।
আরও পড়ুন: বাকিংহ্যামের ‘রয়াল কিচেন’
সূত্রের খবর, হরিয়ানার লেবেল লাগানো এক বোতল হুইস্কি সমস্ত খরচ দিয়ে পটনা পৌঁছতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৬০০ টাকার মতো। এমনি সময়ে নেওয়া হচ্ছিল প্রায় হাজার টাকা। কিন্তু এখন সেলসম্যানের মাধ্যমে তা বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে নেওয়া হচ্ছে নিট্ দেড় হাজার টাকা। ঝাড়খণ্ড বা পশ্চিমবঙ্গের লেবেল থাকলে দাম আরও দুশো টাকা বেশি। হোলির সময়ে রঙিন পানীয়ে গলা ভেজাতে অতিরিক্ত টাকা দিতে খুব একটা চিন্তাও করছেন না মদ্যপ্রেমীরা।
ক্ষমতায় আসার পরে রাজ্যে মদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন নীতীশ কুমার। কিন্তু তারপরেও বিহারে মদের রমরমা কমেনি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ও সভায় নীতীশ দাবি করেছেন, রাজ্যে মদের বদলে দুধের বিক্রি বেড়েছে। নিজের বক্তব্যের সমর্থন বিভিন্ন সরকারি তথ্য তুলে ধরেছেন তিনি। কিন্তু বাস্তবের সঙ্গে তার ফারাক রয়েছে বলে সরকারি কর্তারাও স্বীকার করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy