E-Paper

ছেলে ধরা দিয়েছেন ক’দিন আগেই, সিটের নোটিস পেয়ে এ বার বেপাত্তা প্রজ্বলের মা ভবানী!

প্রজ্বল ও তাঁর বাবা এইচ ডি রেভান্নার বিরুদ্ধে তাঁদের গৃহসহায়িকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই অপহরণ কাণ্ডে ভবানীরও হাত আছে কি না, তার তদন্তে নেমেছে বিশেষ তদন্তকারী দল।

Sourced by the ABP

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৪ ০৭:৪৭
Share
Save

এক মাসেরও বেশি পালিয়ে বেড়ানোর পরে যৌন নিগ্রহ, অপহরণ, অশালীন ভিডিয়ো করা-সহ নানাবিধ দুষ্কর্মে অভিযুক্ত প্রজ্বল রেভান্না পুলিশের হাতে ধরা দিয়েছেন দু’দিন আগেই। এ দিকে আজই বেপাত্তা হয়ে গেলেন প্রজ্বলের মা ভবানী রেভান্না।

প্রজ্বল ও তাঁর বাবা এইচ ডি রেভান্নার বিরুদ্ধে তাঁদের গৃহসহায়িকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই অপহরণ কাণ্ডে ভবানীরও হাত আছে কি না, তার তদন্তে নেমেছে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। সেই সূত্রেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য গত কাল ভবানীকে নোটিস পাঠানো হয়। নোটিসে বলা হয়, ‘‘আপনি আমাদের বলেছিলেন যে কে আর নগর অপহরণ মামলায় আমাদের সাহায্য করবেন। সেই সূত্রে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমাদের অফিসারেরা ১ জুন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে আপনার হোলে নরসিরপুরের বাড়িতে যাবেন। আপনি অবশ্যই সেখানে উপস্থিত থাকবেন।’’

কিন্তু আজ সকালে সিট অফিসারেরা ভবানীদের বাড়ি ‘চন্নাম্বিকা নিবাসে’ পৌঁছে দেখেন, তিনি বাড়ি নেই। তাঁর মোবাইলও বন্ধ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে ফিরে আসেন তাঁরা।

গত কালই ভবানীর আইনজীবী আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। আজ সিট অফিসারদের সামনে ভবানী উপস্থিত না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

পুলিশের দাবি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার নাতি প্রজ্বলের পরিবারের কর্নাটকের হাসন ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশাল প্রতিপত্তি রয়েছে। ফলে গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, এই পরিবার সাক্ষীদের হুমকি দিয়ে ও তথ্যপ্রমাণ লোপের চেষ্টা করে তদন্তে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

এ দিকে, যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে প্রজ্বল ধর্ষণ ও যৌন নিগ্রহের ভিডিয়ো তুলে রাখতেন বলে অভিযোগ, সেই ফোনটি এখনও তদন্তকারী অফিসারদের হাতে আসেনি। সিট সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে প্রজ্বল দাবি করেছে যে, এক বছর আগে তাঁর মোবাইল ফোন হারিয়ে গিয়েছিল। তখন তিনি পুলিশে ডায়েরিও করেন বলে দাবি করেছেন প্রজ্বল। এ বিষয়ে হোলে নরসিরপুরের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা সিটকে জানায়, গত বছর ২৯ মার্চ এই মর্মে তাদের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছিল। কিন্তু অনেক তল্লাশির পরেও সেই ফোন পাওয়া যায়নি। পুলিশের কাছ থেকে আইএমইআই নম্বর সংগ্রহ করে ফোনটি খোঁজার চেষ্টা করছে সিটের গোয়েন্দারা। তাঁদের মতে, যৌন নিগ্রহ ও অশালীন ভিডিয়োর মামলায় প্রজ্বলের তখনকার ফোনটিই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। যা না পেলে প্রজ্বলের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও নথিভুক্ত হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Prajwal Revanna Karnataka

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।