প্রতীকী ছবি।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তছনছ প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ধসে মৃতদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই নিজেদের প্রার্থনা গৃহটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্যবহার করতে দিয়ে নজির গড়ল উত্তর কেরলের একটি মসজিদ।
মলপ্পুরম জেলার কাছে নিলম্বুরে এই সালাফি জুমা মসজিদটি। গত বৃহস্পতিবার মসজিদের কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে কাবালাপ্পারা এলাকায় ধস নেমে মৃত্যু হয় শিশু ও মহিলা-সহ অন্তত ৩০ জনের। বিকৃত দেহগুলি ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যেতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে স্থানীয় প্রশাসন। তাই মসজিদ কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের প্রার্থনার ঘরটি ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়েছিল পুলিশ ও প্রশাসন। মসজিদ কর্তৃপক্ষ এই প্রস্তাবে রাজি হওয়ায় এখন মসজিদেই চলছে ময়নাতদন্ত। বুধবার পর্যন্ত ৩০টি দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে এখানে।
একটানা বৃষ্টিতে জলোচ্ছ্বাসের ফলে ভেসে গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের একাধিক রাজ্য। আগামিকাল সকাল পর্যন্ত রাজ্যের ১৮টি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তিন দিনের লাগাতার বৃষ্টিতে ভোপালে বেশ কিছু জলাধার উপচে যাওয়ায় স্লুইস গেট খুলে দিতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। গত কাল মন্দসৌর ও বেতুল জেলায় বন্যায় ভেসে গিয়েছেন তিন জন। ত্রাণশিবিরে সরানো হয়েছে অন্তত ৩ হাজার মানুষকে।
এ দিকে, বন্যা বিধ্বস্ত গোয়ার জন্য কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সরকারের হাতে ক্ষয়ক্ষতির স্পষ্ট কোনও হিসেব নেই। ২০ অগস্টের মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ গোয়ার জেলাশাসকদের থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি। সরকারের ত্রাণ তহবিলে দান করার জন্য সাধারণ মানুষের কাছেও আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্য দিকে, বন্যায় বিপর্যস্ত কোনও গ্রামের সাহায্যের জন্য কোনও সংস্থা ১০ কোটি টাকা অনুদান দিলে, সেই সংস্থার নামে গ্রামের নামকরণ করা হবে বলে জানাল কর্নাটক সরকার। ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছেন, বন্যার পরে ২২টি জেলার অন্তত ২০০টি গ্রাম পুনর্গঠনের প্রয়োজন। মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের আর্জিতে সাড়া দিয়ে মাত্র দু’দিনে সরকারি ত্রাণ তলবিলে ২০ কোটি টাকা দান করেছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
মহানদীর আশপাশের ১১টি জেলায় নিচু এলাকাগুলিতে বন্যা সতর্কতা জারি করেছে ওড়িশা সরকার। বৃহস্পতিবার কটকের মুন্ডালি জলাধার থেকে ১১.৫ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এর ফলে মহানদী ও তার শাখানদীগুলিতে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy