মুসলিম সবজি বিক্রেতাদের বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক। প্রায় সেই একই পথে হেঁটে মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের একটি গ্রামে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পোস্টার পড়ল। গোটা ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। পুলিশ পোস্টারটি খুলে নিয়ে গিয়েছে। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
একটানা লকডাউনের পর সম্প্রতি সংক্রমিত নয় দেশের এমন কিছু জায়গায় কেন্দ্রীয় নির্দেশে দোকান খুলতে শুরু করেছে। ঠেলাগাড়িতে সবজি নিয়ে বাড়ি বাড়ি বিক্রি করতেও বেরোচ্ছেন অনেক বিক্রেতা। সেই পরিস্থিতিতেই শনিবার ইনদওরের পেমলপুর গ্রামে ঢোকার মুখে হিন্দিতে লেখা ওই পোস্টারটি চোখে পড়ে কয়েক জন বিক্রেতার। তাতে লেখা ছিল, ‘মুসলিম ব্যবসায়ীদের গ্রামে প্রবেশ নিষিদ্ধ।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দৌলতে বিষয়টি সামনে আসার পর রবিবার সকালে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পোস্টারটি খুলে নিয়ে যায় তারা। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছ, তা নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। ইনদওরের ডিআইজি হরিনারায়ণচারী মিশ্র জানিয়েছেন, “খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পোস্টারটি সরিয়ে ফেলা হয়। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: শ্রমিক স্পেশালের যাত্রীদের দাম দিতে হবে টিকিটের, তুঙ্গে বিতর্ক
क्या यह कृत्य प्रधान मंत्री मोदी जी की अपील के विरुद्ध नहीं है? क्या यह कृत्य हमारे क़ानून में दण्डनीय अपराध नहीं है? मेरे ये प्रश्न मुख्य मंत्री शिवराज चौहान जा व मप्र पुलिस से हैं। समाज में इस प्रकार का विभाजन-बिखराव देश हित में नहीं है। https://t.co/rGV1qD2UXh
— digvijaya singh (@digvijaya_28) May 3, 2020
দিগ্বিজয়ের টুইট।
তবে এই ঘটনায় শিবরাজ সিংহ চৌহানের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ। এ দিন সকালে টুইটারে বিষয়টি নিয়ে সরব হন তিনি। দিগ্বিজয় লেখেন, ‘‘এটা কি প্রধানমন্ত্রীর আবেদনের পরিপন্থী নয়? এই ঘটনা কি আইনত অপরাধ নয়? মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান এবং মধ্যপ্রদেশ পুলিশের কাছে জবাব চাইছি। সমাজে এই ধরনের বিভাজন দেশের পক্ষে মোটেই শুভ নয়।’’
এ নিয়ে শিবরাজ সিংহ চৌহান সরকার বা রাজ্য বিজেপি নেতাদের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। মাস খানেক আগে উত্তরপ্রদেশে একটি বেসরকারি ক্যানসার হাসপাতালের সামনেও একই ধরনের পোস্টার পড়েছিল। কোভিড-১৯ পরীক্ষা ছাড়া কোনও মুসলিম রোগীকে হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে সে বার লেখা হয়েছিল তাতে।
আরও পড়ুন: সারা বিশ্বে ভারতেই মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম, দাবি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
প্রকাশ্যে মুসলিমদের থেকে শাক-সবজি না কেনার পরামর্শ দিয়ে এপ্রিলের মাঝামাঝি বিতর্ক বাধান উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক সুরেশ তিওয়ারিও। তার জন্য তাঁকে শোকজ করে দলে।