অঙ্কিতাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার পুলকিত-সহ তিন। ফাইল চিত্র।
গরিব হতে পারি, কিন্তু ১০ হাজার টাকার জন্য নিজেকে বিক্রি করতে পারব না। রিসর্টের অতিথিদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার প্রস্তাব প্রসঙ্গে এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় এমন কথাই লিখেছিলেন উত্তরাখণ্ডে বিজেপি নেতার ছেলের রিসর্টের রিসেপশনিস্ট অঙ্কিতা ভণ্ডারী। এমন দাবিই করেছেন তাঁর এক বন্ধু।
১৯ বছর বয়সি অঙ্কিতাকে খুনের অভিযোগ ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছে উত্তরাখণ্ডে। যে খবরে শোরগোল দেশ জুড়েও। অঙ্কিতাকে হত্যার অভিযোগের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ। পাউরি জেলার ওই রিসর্টে অতিথিদের সঙ্গে যৌন লালসায় লিপ্ত হতে জোর করা হত অঙ্কিতাকে। এমন অভিযোগই প্রকাশ্যে এসেছে। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন অঙ্কিতার এক ফেসবুক বন্ধুও। এমনকি, এই কথা জানিয়েছেন ডিজিপি অশোক কুমারও। তিনিও জানিয়েছেন যে, অতিথিদের ‘খুশি করতে’ অঙ্কিতাকে ‘চাপ দিতেন’ রিসর্ট মালিক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অঙ্কিতাকে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য রিসর্টের মালিক ও ম্যানেজাররা চাপ দিচ্ছেন, এ কথা হোয়াটসঅ্যাপে ওই ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’কে জানিয়েছিলেন ১৯ বছর বয়সি ওই তরুণী।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে শেষ বার ওই রিসর্টে দেখা গিয়েছিল অঙ্কিতাকে। তার পর থেকেই রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। পুলিশ সূত্রে দাবি, ওই দিন রাত ৮টা নাগাদ বিজেপি নেতার ছেলে তথা রিসর্টের মালিক পুলকিত আর্য, রিসর্টের ম্যানেজার সৌরভ ভাস্কর ও সহকারী ম্যানেজার অঙ্কিতের সঙ্গে হৃষীকেশে গিয়েছিলেন অঙ্কিতা। তিন যুবকের সঙ্গে অঙ্কিতার বচসা বেধেছিল। ওই রিসর্টে কুকর্মের কথা ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন অঙ্কিতা। তার পরই তাঁকে চিল্লা খালে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার কিছু সময় আগে তাঁর ব্যাগ নিয়ে আসার জন্য কাঁদতে কাঁদতে রিসর্টের শেফ (রাঁধুনি) মনবীর সিংহকে ফোন করেছিলেন অঙ্কিতা। সেই মতো রিসর্টের এক কর্মী ব্যাগ নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পর অঙ্কিতাকে দেখতে পাননি।
গত ২১ সেপ্টেম্বর অঙ্কিতার নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় থানায়। দায়ের করা হয় এফআইআর। এরপরই হরিদ্বারের বিজেপি নেতা বিনোদ আর্যের ছেলে পুলকিত, তাঁর বন্ধু সৌরভ ও অঙ্কিতকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা জেল হেফাজতে রয়েছেন। শনিবার ওই খাল থেকে অঙ্কিতার দেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, জলে ডুবে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃত্যুর আগে দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। অঙ্কিতাকে খুনের কথা ধৃতরা স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy