পঞ্জাবে ‘৫০টি’ গ্রেনেড পৌঁছে গিয়েছে বলে দাবি করেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা প্রতাপ সিংহ বাজওয়া। সেই মন্তব্যের জেরে পুরোদস্তুর রাজনৈতিক তরজা শুরু হল রাজ্যের শাসক আপ ও বিরোধী কংগ্রেসের মধ্যে। ইতিমধ্যেই বাজওয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছে মোহালি পুলিশ।
সম্প্রতি এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে বাজওয়া বলেন, “৫০টি বোমা পঞ্জাবে পৌঁছেছে বলে জানতে পেরেছি। তার মধ্যে ১৮টি ইতিমধ্যেই ফেটেছে। ৩১টি এখনও ব্যবহৃত হয়নি।” এর পরেই বাজওয়াকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিংহ মান। তিনি প্রশ্ন করেন, “আপনি কোথা থেকে এই তথ্য পেলেন? জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এই তথ্য পেলে আমাদের জানাত। পঞ্জাবের গোয়েন্দারা এমন তথ্য জানেন না। আপনি কি রাজ্যে ভয় ছড়াতে চান, না বোমা বিস্ফোরণের অপেক্ষায় রয়েছেন? সেটা অপরাধ। আইন নিজের পথে চলবে।’’ সেই সঙ্গে মানের দাবি, বাজওয়া পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তানি এজেন্টদের দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক রয়েছে।
কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, বাজওয়ার বলা কথা দীর্ঘদিন ধরেই সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই থানা, ধর্মস্থান ও প্রবীণ বিজেপি নেতার বাড়িতে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। বি আর অম্বেডকরের মূর্তিতে তাণ্ডবও হয়েছে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, “বাজওয়া নতুন কথা বলছেন না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সেই হুঁশিয়ারিকে গুরুত্ব দেওয়ার বদলে বাজওয়ার পরিবারের সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগের দাবি করছেন। প্রকৃতপক্ষে বাজওয়া জঙ্গি হামলায় নিজের পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।’’
গত কাল রাতে তাঁর বাড়িতে যাওয়া পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন বলে আজ জানান বাজওয়া। মোহালির সাইবার অপরাধ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ হয়েছে। আজ দুপুরে তাঁকে থানায় ডাকা হয়েছিল। বাজওয়া মোহালিতে নেই বলে জানিয়েছেন পুলিশকে। কৌঁসুলিরা কোর্টে জানান, তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআরের বিষয়বস্তু জানেন না বাজওয়া। এফআইআরের প্রতিলিপি তাঁকে ও ওয়েবসাইটে দিতে বলেছে কোর্ট।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)