প্রতীকী ছবি।
উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের মন্দিরে পুলিশের দিকে তেড়ে যাওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মুর্তাজা আহমেদ আব্বাসির সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস-এর যোগাযোগ খুঁজে পেল যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ। ঘটনার পরেই তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখার (এটিএস) হাতে। রবিবার লখনউ পুলিশের এটিএস দাবি করেছে, গোরক্ষপুর মন্দিরে হামলায় ধৃত মুর্তাজা আহমেদ আব্বাসির সঙ্গে আইএসআইএস-এর যোগাযোগ পাওয়া গিয়েছে।
এ মাসের ৩ তারিখে গোরক্ষপুর মন্দিরের সামনে প্রহরারত পুলিশের দিকে তেড়ে গিয়েছিল মুর্তাজা। তখনই তাকে গ্রেফতারের পরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গোটা ঘটনায় জঙ্গি যোগের ইঙ্গিত দিয়েছিল। মুর্তাজার বাবার দাবি ছিল, তাঁর ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ পুলিশ প্রথম থেকেই এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি যোগের দাবি জানায়। রবিবার পুলিশের কর্তারা দাবি করেন, ধৃত আব্বাসির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি সিম কার্ড। পুলিশের ধারণা, ওই সিম কার্ডের মাধ্যমেই দেশ-বিদেশের একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলত আব্বাস। পুলিশের দাবি, তার ল্যাপটপ থেকেও পাওয়া গিয়েছে একাধিক জঙ্গি সংগঠনের প্রকাশ করা ভিডিয়ো। এমনকি তার জি-মেল, টুইটার বা ফেসবুক থেকেও জঙ্গিযোগের প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। তাদের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একাধিক ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠীর কাজকর্মকে অনুসরণ করত আব্বাস। তা ছাড়া ধৃতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ই-ওয়ালেট এবং আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক নথি দেখে তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত আব্বাসি ইউরোপ এবং আমেরিকার বিভিন্ন দেশে আইএসআইএস সমর্থকদের সাহায্যে প্রায় ৮.৫ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছে। পুলিশের দাবি, ২০১৩ থেকেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত ছিল আব্বাসি।
গোরক্ষপুর মন্দিরে হামলার সময় আব্বাসির কাছে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়নি। যদিও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তদন্তকারীদের দাবি, আব্বাসি ওই দিন ‘লোন উলফ’ কায়দায় হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল। মন্দিরের দক্ষিণ দরজায় প্রহরারত পুলিশদের উপরে হামলা করে তাদের আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নিয়ে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা ছিল বলেই দাবি পুলিশের। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজে গোরক্ষপুর মন্দিরের পুরোহিত ছিলেন। তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রও গোরক্ষপুর। সেখানে মন্দিরের সামনে আব্বাসির হামলার পর থেকে পুলিশ জঙ্গিযোগের দাবি করেছিল। তদন্তের পরে সেই দাবির সপক্ষে প্রমাণ মিলেছে বলে জানাল তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy