দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই গাড়ি। ফাইল চিত্র।
পুণের পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্ত কিশোরকে পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে কী কী পরিকল্পনা করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা, এমনকি চিকিৎসকেরাও, প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য। শুক্রবার পুণে পুলিশ সেই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল কিশোরের বিরুদ্ধে। যার জেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই ইঞ্জিনিয়ারকে পিষে মারে সে। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর ঘটনাকে ‘চাপা’ দিতে পরিবারের তরফে নানা রকম উপায় অবলম্বন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিশোরের রক্তের নমুনা পরীক্ষার পর্ব আসতেই সেই নমুনা বদলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পরিবারের বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, ঘুষ নিয়ে তড়িঘড়ি এ কাজে সহযোগিতা করেছিলেন সরকারি হাসপাতালের কয়েক জন চিকিৎসক।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে স্থির করা হয়েছিল কিশোরের রক্তের বদলে তার বাবা এবং ভাইয়ের রক্তের নমুনা পাঠানো হবে। কিন্তু তারা দু’জনেই মত্ত অবস্থায় থাকায় শেষমেশ সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। তার পরই কিশোরের মায়ের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতালে যে দুই চিকিৎসক অজয় তাওড়ে এবং শ্রীহরি হালনর রক্তের নমুনা বদলেছিলেন বলে অভিযোগ। তার পরই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। হাসপাতালের এক কর্মীও এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে। এ ছাড়াও কিশোরের রক্তের নমুনা বদলানোর জন্য মোটা অঙ্কেরটাকার যে রফা হয়েছিল, তাতে চিকিৎসক এবং কিশোরের পরিবারের মধ্যে সমঝোতাকারী হিসাবে কাজ করেছিলেন অস্পক মাকন্ডর এবং অমর গায়কোয়াড় নামে দুই ব্যক্তি। কিশোরের গাড়িতে থাকা তাঁর দুই সঙ্গীরও রক্তের নমুনা বদলানোর পরিকল্পনা ছিল বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
গত ১৯ মে দুই ইঞ্জিনিয়ারকে পিষে মারার অভিযোগ ওঠে এক কিশোরের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় গোটা দেশ তোলপাড় হয়। কিশোর যে মত্ত অবস্থায় ছিল, তা যাতে প্রমাণ না করা যায়, তার জন্য রক্তের নমুনা বদলে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। কী ভাবে সেই নমুনা বদলানো হল, পুরো পক্রিয়াটাই এ বার প্রকাশ্যে আনল পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy