—প্রতীকী ছবি।
মৃত্যুর আগে বড় একটি চিঠি লিখে গিয়েছিলেন তরুণী। সেই চিঠি সমাজমাধ্যমে পোস্টও করেন। চিঠিতে লেখা ছিল, “একসঙ্গে বাঁচার যখন অধিকার নেই, একসঙ্গে তো মরতে পারি!” চিঠিটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই তরুণী এবং তাঁর প্রেমিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি রাজস্থানের পালির।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তরুণীর নাম সঙ্গীতা এবং তাঁর প্রেমিকের নাম নির্মল। প্রেমিক ভিন্জাতের হওয়ায় সঙ্গীতার পরিবার আপত্তি জানায়। তাই তাঁরা দু’জনে পালিয়ে বিয়ে করার ছক কষেছিলেন। কিন্তু তার আগেই দু’জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। পুলিশ জানিয়েছে, সঙ্গীতা যে চিঠি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন, সেখানে পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।
ওই চিঠিতে সঙ্গীতা অভিযোগ করেছেন যে, তাঁকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁর প্রেমিককেও বাড়ির লোকেরা মারধর করেছেন। দু’জনের পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা জানতে পেরে গিয়েছিল সঙ্গীতার পরিবার। ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শেষমেশ পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সঙ্গীতা এবং তাঁর প্রেমিক বাড়ির অদূরেই একটি গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা যুগলের ঝুলন্ত দেহ দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
সঙ্গীতার পরিবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এর পর তারা নির্মলের বাড়িতে যায়। অভিযোগ, তাঁর বাবা, ভাই এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের উপর ছুরি নিয়ে হামলা চালান সঙ্গীতার বাড়ির লোকেরা। গুরুতর জখম হয়েছেন নির্মলের বাবা এবং ভাই। তাঁদের জোধপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। সঙ্গীতা এবং নির্মলের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy