কেরলে পুলিশকর্মী কুমারের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক তৈরি হল তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ ঘিরে। মৃত পুলিশকর্মীর স্ত্রী সঞ্জিতার অভিযোগ, কুমার জনজাতিভুক্ত হওয়ায় বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাঁকে নিয়মিত মানসিক নির্যাতন করতেন।
পালাক্কড় শহরের কালেক্কাড়ু সশস্ত্র রিজার্ভ ক্যাম্পে ছিলেন কুমার। বৃহস্পতিবার লাক্কিড়িতে রেললাইনের ধার থেকে ওই পুলিশকর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। কী ভাবে কুমারের মৃত্যু হল তার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তাঁর স্ত্রী সঞ্জিতা শনিবার অভিযোগ করেন, কুমারকে জাতিগত বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘নিচু জাতের হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওঁকে নিয়মিত মানসিক নির্যাতন করতেন। কুমার প্রায়শই বলত, আদিবাসী হওয়ার কারণে তাঁকে অতিরিক্ত সময় কাজ করতে বাধ্য করা হত।’’
অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ কুমার-মৃত্যু তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের একাংশের বক্তব্য, ওই পুলিশকর্মীর বেশ কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা ছিল। সম্ভবত সেই কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। পালাক্কড় জেলা পুলিশের এক অফিসার বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হচ্ছে, পারিবারিক সমস্যা-সহ ওঁর একাধিক সমস্যা ছিল। এআর ক্যাম্পে আবাসন বণ্টন নিয়েও সমস্যা তৈরি হয়েছিল।’’
পুলিশকর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারকে নিশানা করতে শুরু করেছে বিরোধী কংগ্রেস। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা রমেশ চেন্নিথালার মতে, পুলিশকর্মীর ‘আত্মহত্যা’র ঘটনা কেরলের লজ্জা। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা ওই পুলিশকর্মীকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছেন, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy