Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Parliament Security Breach

হানাদারদের ‘পাস’ দিয়েছিলেন কেন? বিজেপি নেতার বয়ান রেকর্ড করতে পারে পুলিশ, কোন পথে তদন্ত?

বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিংহের কাছ থেকে অনুমতিপত্র নিয়ে সংসদে ঢুকেছিলেন সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি। তাঁর বয়ান রেকর্ড করতে পারেন দিল্লি পুলিশের আধিকারিকেরা।

Police may record statement of BJP leader Pratap Singh on Lok Sabha Security Breach case

মাইসুরুর বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিংহ। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:১১
Share: Save:

তাঁর চিঠিতেই কাজ হয়েছিল। সেই অনুমতিপত্র নিয়ে লোকসভায় ঢুকেছিলেন সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি। এ বার দিল্লি পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হতে পারে সেই বিজেপি নেতাকে। প্রতাপ সিংহের বয়ান রেকর্ড করতে পারে পুলিশ।

দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল সংসদ হানার বিষয়টি তদন্ত করছে। তারা মাইসুরুর বিজেপি সাংসদ প্রতাপের বয়ান রেকর্ড করতে চান। প্রতাপ অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর উত্তর। তিনি জানিয়েছেন, সাগরের বাবা তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা। তিনিই প্রতাপের দফতরে বার বার লোকসভার একটি অধিবেশনে প্রবেশের অনুমতিপত্র চেয়েছিলেন। সাগরের বাবা জানিয়েছিলেন, তাঁর পুত্র নতুন সংসদ ভবনটি ভিতর থেকে দেখতে চান। সেই সুযোগ করে দেওয়ার অনুরোধ নিয়ে প্রতাপের দফতরে এসেছিলেন তিনি। তাই অনুমতিপত্র দিয়েছিলেন সাংসদ।

ওই অনুমতিপত্র নিয়ে সাগর এবং তাঁর দলবল যে কী পরিকল্পনা করছেন, সে বিষয়ে কোনও ধারণা ছিল না প্রতাপের। এ কথা তিনি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছেও জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

অন্য দিকে, প্রতাপের অনুমতিপত্র নিয়ে সংসদে ঢুকে এই হানার ঘটনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। প্রতাপের সাংসদ পদ খারিজের দাবি করা হয়েছে। কিছু দিন আগে টাকা নিয়ে প্রশ্নকাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁর সাংসদ পদও খারিজ করা হয়েছে। মহুয়া এবং তাঁর দল প্রতাপের বিষয়টিকে হাতিয়ার করে তাই ময়দানে নেমেছেন।

গত বুধবার সাগর এবং মনোরঞ্জন লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন দর্শকের গ্যালারি থেকে আচমকা চেম্বারে ঝাঁপ দেন। তাঁদের কাছে ছিল রংবোমা। যা নিয়ে তাঁরা সংসদ কক্ষের চারদিকে ছড়িয়ে দেন হলুদ ধোঁয়া। তাঁদের ধরে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় কয়েক মিনিটের মধ্যেই। সংসদের বাইরে থেকে নীলম আজাদ এবং অমল শিন্ডে নামের আরও দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিন রাতে হরিয়ানা থেকে গ্রেফতার হন বিশাল শর্মা নামের আরও এক জন। বৃহস্পতিবার দিল্লির থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ললিত ঝা। তাঁকে এই গোটা পরিকল্পনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলা হচ্ছে।

ধৃতদের শনিবার সংসদে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে দিল্লি পুলিশের। তাঁদের লখনউ এবং গুরুগ্রামেও নিয়ে যাওয়া হবে। ললিত ঘটনার পর রাজস্থানে গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। তাঁকে সেখানেও নিয়ে যেতে পারে পুলিশ। আপাতত সকলকেই সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy