Advertisement
১৯ অক্টোবর ২০২৪
Murder and Suicide Case

ধর্ষণে অভিযুক্তের সঙ্গে ঘর করতে চাননি স্ত্রী, মধ্যপ্রদেশে মহিলা ও শাশুড়িকে ‘কুপিয়ে খুন করে আত্মঘাতী’ স্বামী

ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছিলেন স্ত্রী। পরে মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকিরও অভিযোগ দায়ের করেন। দুই মামলাতেই জামিন পান অভিযুক্ত। তার পরই স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে খুন করে স্বামী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:২১
Share: Save:

স্ত্রী এবং শাশুড়িকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। আত্মঘাতী হয়েছেন অভিযুক্তও। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, স্ত্রী ও শাশুড়িকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। দু’বার পৃথক অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এক বার ধর্ষণ, দ্বিতীয় বার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। দু’বারই গ্রেফতার হন। পরে জামিনও পান। জামিনে মুক্তির পর স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্ত্রী তাতে রাজি ছিলেন না। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই নিয়েই বচসা শুরু হয়। পুলিশের অনুমান, স্ত্রী সংসার করতে রাজি না হওয়াতেই রাগের বশে এই কাণ্ড ঘটান তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে দু’জনের বিয়ে হয়। কিন্তু খুশি ছিলেন না অভিযুক্তের শাশুড়ি। তিনি মেয়েকে নিজের বাড়িতে ফেরত নিয়ে গিয়েছিলেন। এর কিছু দিন পরেই স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মহিলা। গ্রেফতার হন অভিযুক্ত। এর পর জামিন পেয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে। ধর্ষণের মামলা তুলে নেওয়ার জন্যও বলেছিলেন।

তখন ফের থানায় গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান মহিলা। ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ওই মামলায় আবারও গ্রেফতার হন অভিযুক্ত। দ্বিতীয় মামলায় শুক্রবারই জামিন পান তিনি। জামিন পেয়েই আবার শ্বশুরবাড়ি যান তিনি। স্ত্রীকে ঘরে ফেরানোর জন্য আবারও চেষ্টা করেন। কিন্তু এ বারও স্ত্রী তাঁর সঙ্গে সংসার করতে রাজি ছিলেন না। সেই সময়েই তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয় দু’পক্ষের। পুলিশের অনুমান রাগারাগি, বচসার মাঝেই স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে খুন করেন অভিযুক্ত। পরে নিজেও আত্মঘাতী হন। ঘটনার পর জবলপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনালি দুবে বলেন, “আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। সেখানেই এই ঘটনাটি ঘটে। ঠিক কী ঘটেছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Madhya Pradesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE