—প্রতীকী চিত্র।
কিশোরীকে একাধিক বার যৌন নিগ্রহের অভিযোগ তিন গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের দক্ষিণ মুম্বই এলাকায়। ওই তিন অভিযুক্ত একই সঙ্গে একটি কোচিং প্রতিষ্ঠান চালাতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তেরা তিন ভাই। তাঁদের বাড়িতেই চলত কোচিং সেন্টার। অভিযোগ, নির্যাতিতা বছর তেরোর কিশোরীকে ওই বাড়িতেই একাধিক বার যৌন নিগ্রহ করা হয়। প্রায় দুই বছর ধরে ওই তিন গৃহশিক্ষক এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে, দুই গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তৃতীয় জন এখনও পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
গৃহশিক্ষকদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের কথা পরিবারের লোকেরা জানতে পারলেও প্রথমে তাঁরা বিষয়টি থানায় জানাতে চাননি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত থানায় অভিযোগ জানান নির্যাতিতার মা। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতার মা ও বাবার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। নির্যাতিতাকে নিয়ে তাঁর মা আলাদা থাকেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই অভিযুক্তেরা দিনের পর দিন কিশোরীকে যৌন নিগ্রহ করেছেন বলে সন্দেহ পুলিশের। ঘটনার পর ইতিমধ্যে কিশোরীর বয়ান সংগ্রহ করেছে পুলিশ। সে জানিয়েছে, অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকেরা তাকে কোচিং শুরু হওয়ার অনেকটা সময় আগেই পৌঁছে যেতে চাপ দিতেন। কোচিং শেষের পরেও অনেকটা সময় আটকে রাখতেন এবং যৌন নির্যাতন চালাতেন বলে অভিযোগ।
দক্ষিণ মুম্বইয়ের ওই কোচিং সেন্টারে সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হত। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কোচিং সেন্টারে প্রায় ৩৫-৪০ জন ছাত্রী পড়তে আসত। নির্যাতিতা কিশোরীও ২০২২ সাল থেকে ওই কোচিং সেন্টারে পড়ত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এর পর প্রায় দু’ বছর ধরে ওই ছাত্রী গৃহশিক্ষকদের কাছে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর পুলিশ ইতিমধ্যে পকসো ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর শনিবারই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy