দিনভর জেরা করার পরে রাতে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
অসমে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিযুক্তির ক্ষেত্রে দালালরাজ এখনও চলছে এবং চাকরির বিনিময়ে তিন থেকে আট লক্ষ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন ভিক্টর দাস নামে এক যুবক। তাঁকে শুক্রবার দিনভর জেরা করার পরে রাতে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশের স্পেশাল ডিজিপি জিপি সিংহের দাবি, ভিক্টর প্রচারে আসার জন্যই এমন ভিত্তিহীন দাবি করেছিলেন। তাঁর কাছে বক্তব্যের স্বপক্ষে তেমন কোনও প্রমাণ ছিল না। যুগ্ম পুলিশ কমিশনার পার্থসারথি মহন্ত বলেন, ভিক্টর কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি। প্রাক্তন বিধায়ক জড়িত বলে টুইটারে লিখলেও কারও নামই নিতে পারেননি। ইচ্ছাকৃত ভাবে, বিনা প্রমাণে অপপ্রচার চালানোর দায়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিরোধীদের পাল্টা দাবি, অভিযোগকারীকে গ্রেফতার করে গোটা বিতর্ক ধামাচাপা দিতে চাইছে অসমের বিজেপি সরকার। গুয়াহাটির দু’টি কোচিং সেন্টারের মালিক ভিক্টরের বাবা কুমুদচন্দ্র দাস ২০২০ সালে রেল বিভাগে কেলেঙ্কারির তদন্ত ফাঁস করেছিলেন। তার কিছু দিন পরেই রহস্যজনক ভাবে তাঁর মৃতদেহ রেল লাইনের পাশে উদ্ধার হয়!
ভিক্টরের দাবি, চাকরির বিনিময়ে টাকা চাওয়া সংক্রান্ত কল রেকর্ডিং এবং আরও বেশ কিছু প্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করলেও তিনি দমছেন না। রাইজ়র দলের বিধায়ক অখিল গগৈ বলেন, ‘‘বর্তমানে অসমে গণতন্ত্র বাঁচানো দূরের কথা জীবন বাঁচানোই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে ব্যক্তি অভিযোগ করলেন, পুলিশ তাঁকেই গ্রেফতার করল! অথচ দোষীদের ধরার কোন চেষ্টাই করল না।’’ অসম যুব তৃণমূলের সভাপতি বনদীপ দত্ত বলেন, ভিক্টর দাসের গ্রেফতার আসলে মানুষের মুখ বন্ধ করার সরকারি প্রচেষ্টার উদাহরণ। তিনি একটি অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশের উচিত ছিল, সেই অভিযোগের তদন্ত করা ও যদি সত্যি এ রকম হয়ে থাকে তবে তাদের ধরার ব্যবস্থা করা। কিন্তু এখন অভিযোগ দিলেও যদি গ্রেফতার হতে হয় ও জেলে যেতে হয়, তা হলে তো দুর্নীতি দেখলেও সকলে মুখ বন্ধ করে থাকবেন! তাঁর প্রশ্ন, “সরকার কি এ ভাবেই স্বচ্ছ প্রশাসন চালাতে চাইছে, না কি ভিক্টরের অভিযোগে গোপন দুর্নীতি ফাঁস হওয়ার আশঙ্কায় তাঁকে গ্রেফতার করা হল?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy