ছবি: পিটিআই
প্রপার্টি কার্ড। যা থাকলে গ্রামের মানুষ নিজেদের জমি ও অন্য সম্পত্তি অর্থনৈতিক লগ্নির জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। এই কার্ড দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণও নেওয়া যাবে। এছাড়াও জমির ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদ থাকবে না। এমন প্রকল্পের কথা আগেই ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। রবিবার তা আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হল। এ দিন কেন্দ্রের ‘স্বামীত্ব’ (মালিকানা) প্রকল্পের আওতায় প্রপার্টি কার্ডের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বামীত্ব (সার্ভে অফ ভিলেজেস অ্যান্ড ম্যাপিং উইথ ইম্প্রোভাইজড টেকনোলজি ইন ভিলেজ এরিয়াস) প্রকল্পের উদ্বোধন করে মোদী দাবি করেন, এ এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এদিন এই প্রকল্পের অনেক উপভোক্তার সঙ্গেও সরাসরি কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, এই কার্ড চালু হলে জমি ও সম্পত্তির মালিকানা থেকে কেউ বঞ্চিত হবেন না। সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদ কমবে। বদলে যাবে গ্রামীণ ভারতের ছবি। অর্থনৈতিক উন্নতি হবে গ্রামের মানুষেরও।
জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে মোট ছ’টি রাজ্যের ৭৬৩ টি গ্রামের বাসিন্দারা প্রপার্টি কার্ডের সুবিধা পাবেন। এই মুহূর্তে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের কোনও গ্রাম এতে নেই। এখন অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের ৩৪৬, হরিয়ানার ২২১, মহারাষ্ট্রের ১০০, মধ্যপ্রদেশের ৪৪, উত্তরাখণ্ডের ৫০ ও কর্নাটকের দু’টি গ্রাম। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় এক লাখ ৩২ হাজার উপভোক্তার কাছে প্রপার্টি কার্ডের লিঙ্ক মেসেজের মাধ্যমে পাঠানো হবে। সেই লিঙ্ক থেকে নিজেদের প্রপার্টি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে হবে উপভোক্তাদের। আগামীদিনে বিভিন্ন রাজ্য সরকার গ্রামীণ মানুষের হাতে প্রপার্টি কার্ড তুলে দেবে।
আরও পড়ুন: ২০০ মৃতদেহ বয়ে করোনাতেই থামল আরিফের অ্যাম্বুল্যান্স
আরও পড়ুন: হিমাচলি গানে ভারত জয় কেরলের মেয়ের, দেবিকার গানে মুগ্ধ মোদীও
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল পঞ্চায়েতরাজ দিবসে দেশের সব গ্রামকে স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজে দক্ষতা বাড়াতে ও প্রয়োজনীয় তথ্য জোগাতে ‘ই-গ্রামস্বরাজ অ্যাপ’ এবং গ্রামীণ ভারতের জমি-সম্পত্তির মালিকানা সংক্রান্ত ‘স্বামীত্ব যোজনা’-র উদ্বোধন করেন। তারই আওতায় এই প্রপার্টি কার্ড। কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ সালের মধ্যে ছ’ লক্ষ ৬২ হাজার গ্রাম স্বামীত্ব যোজনার আওতায় আসবে। গ্রামের জমি ও সম্পত্তির মালিকানা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ডিজিটাল অ্যাপে নথিবদ্ধ থাকবে। সরকার মনে করছে, এর ফলে জমির ভাগাভাগি নিয়ে কোনও গোলমাল থাকবে না। একই সঙ্গে স্থাবর সম্পত্তি লগ্নি করে অর্থনৈতিক সুবিধা মিলবে গ্রামীণ নাগরিকদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy