Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
Hathras

মোদীর মুখে নারীশক্তি, হাথরস-কটাক্ষ রাহুলের

বিরোধীদের বক্তব্য, আসন্ন বিহার ভোটের কথা মাথায় রেখে বার বার একই শব্দবন্ধ ব্যবহার করছেন প্রধানমন্ত্রী।

হাথরস ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ রাহুল গাঁধীর। —ফাইল চিত্র

হাথরস ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ রাহুল গাঁধীর। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২০ ০৫:০৪
Share: Save:

হাথরস-কাণ্ডে যোগী সরকারকে ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশ দিলেও প্রকাশ্যে তা নিয়ে এখনও নীরব নরেন্দ্র মোদী। তবে আজ নারীশক্তির জয়গান করলেন তিনি। একই সঙ্গে দাবি, তাঁর সরকারের কাছে অগ্রাধিকার দলিত, দরিদ্রদের মঙ্গলই। কিন্তু একই দিনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীর কটাক্ষ, হাথরস-কাণ্ড একটি মেয়ের বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং তা ভারতের কয়েক লক্ষ মহিলার আখ্যান। যাঁরা সরকারের কাছে আজ দীর্ঘদিন ন্যায়বিচারের মুখাপেক্ষী।

সোমবার গ্বালিয়রের প্রয়াত রাজমাতা তথা বিজেপি নেত্রী বিজয়া রাজে সিন্ধিয়ার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১০০ টাকার বিশেষ স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে ভিডিয়ো-বক্তৃতাতেই তিনি বলেন, “…দেশ আজ উন্নতির পথে হাঁটছে। গ্রাম-গরিব-শোষিত-পীড়িত-দলিত-মহিলারা এখন অগ্রাধিকারের তালিকায়।” বিরোধীদের বক্তব্য, আসন্ন বিহার ভোটের কথা মাথায় রেখে বার বার একই শব্দবন্ধ ব্যবহার করছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর দল কিংবা সরকারের কাজে দলিত কিংবা মহিলাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতিফলন কোথায়? গতকালই যোগী-সরকারের উদ্দেশে রাহুল তোপ দেগেছিলেন, “লজ্জার বিষয় যে, অনেকেই দলিত, মুসলিম এবং তফসিলিদের মানুষ বলে মনে করেন না।”

মোদীর দাবি, “আজ সমস্ত ক্ষেত্রে ভারতের নারীশক্তি এগিয়ে চলেছে। এ দেশের মেয়েরা যেমন যুদ্ধবিমান ওড়াচ্ছেন, তেমনই সেনানী হিসেবে যোগ দিচ্ছেন জলবাহিনীর যুদ্ধে।” আইনের মাধ্যমে তিন-তালাক বন্ধ করে এই মহিলাদের পায়ের নীচের মাটি শক্ত করার চেষ্টা হয়েছে বলেও তাঁর দাবি। কিন্তু বিরোধী শিবিরের কটাক্ষ, প্রধানমন্ত্রী ‘বেটি বচাও, বেটি পড়াও’ স্লোগান তোলেন। মহিলাদের ন্যায্য অধিকার দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠলেই তাঁর মনে পড়ে তিন-তালাক রদের কথা। কিন্তু হাথরসে দলিত তরুণীর উপরে অমন নিষ্ঠুর নির্যাতনের পরেও এখনও পর্যন্ত কার্যত কুলুপ তাঁর মুখে!

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE