প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
যে কৌশল নিয়ে গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশে সাফল্য এসেছে, এবার কর্নাটকের বিধানসভা ভোটের আগেও সেই পথেই এগোতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে দলের প্রচার ও বিপুল অর্থের সরকারি প্রকল্পের মেলবন্ধন ঘটাতে চলেছেন তিনি। আগামিকাল, রবিবারই প্রায় ৮৪৮০ কোটি টাকার বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনে কর্নাটকে পৌঁছচ্ছেন মোদী।
তবে প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কৃতিত্ব নিজেদের ঘরে টানতে মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার দল জেডিএস। তারা বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘বেঙ্গালুরু-মাইসুরু সড়কপথের হাল এতটাই খারাপ ছিল যে ১৯৮৩ সালে একটি দুর্ঘটনায় সেখানে ২৩ জন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল। তারপর রাজ্যের তৎকালীন পূর্তমন্ত্রী দেবগৌড়া এখানে চার লেনের রাস্তা তৈরি করেন। সেখানেই না থেমে এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন সম্ভাবনার দিক খতিয়ে দেখতে তিনি বিশেষজ্ঞ দল তৈরি করেন। আজকের এক্সপ্রেসওয়ে তাঁরই চিন্তার ফসল।’
ভোটমুখী কর্নাটকে গত দু’মাসে এটি মোদীর পঞ্চম সফর। উত্তর কর্নাটকের মাইসুরু এলাকায় দলের প্রচারকে শক্তিশালী করতে আগামিকাল হুবলি ও মাণ্ডিয়াতে এক ঘণ্টা করে থাকার কথা রয়েছে তাঁর। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ১১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে ওই দুই শহরের মধ্যে যাতায়াতের সময় কমিয়ে আধঘণ্টা কমিয়ে দেবে। পাশাপাশি, কর্নাটক থেকে তামিলনাড়ু ও কেরলে যাতায়াতের পথও সুগম করবে।
দু’মাসের মধ্যেই কর্নাটকে ভোট। এক্সপ্রেসওয়ে যার উপর দিয়ে যাচ্ছে, সেই মাণ্ডিয়া অঞ্চল ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের প্রাণকেন্দ্র। তবে এই সময়ে এই অঞ্চলে বিজেপির প্রভাব চ্যালেঞ্জের মুখে। এই জেলায় বিজেপির একজন মাত্র বিধায়ক এবং তিনিও যথেষ্ট টলমলে অবস্থায় রয়েছেন। সেই বিধায়ক, অর্থাৎ কেসি নারায়ণগৌড়া ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্বকে শুনিয়ে রেখেছেন যে তাঁর কাছে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। নারায়ণগৌড়া জেডিএস-এর প্রাক্তন নেতা, ২০১৯-এ বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বিজেপি নেতৃত্ব মাইসুরু, হাসান ছাড়াও শোলে সিনেমার জন্য বিখ্যাত রামগড়ম অঞ্চল থেকে মোদীর সমাবেশে লোক জড়ো করার জন্য সক্রিয়। এখানকার পাঁচটি জেলা মিলিয়ে ৩২টি বিধানসভা এবং ৫টি লোকসভা কেন্দ্র। একমাত্র মাইসুরু বাদ দিলে এখানকার বাকি সর জায়গায় জেডিএস এবং কংগ্রেসের পোক্ত ঘাঁটি। আগামিকাল হুবলিতে মোদী জাতির উদ্দেশে নতুন আইআইটি ধারওয়ার-কে উৎসর্গ করবেন। পাশাপাশি এখানে লোকাল ট্রেন-এর দীর্ঘতম প্ল্যাটফর্মটি উদ্বোধন করা হবে। বিজেপি আশা করছে, মোদীর সফরে এই এলাকায় ভোটের ভিত শক্ত হবে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এখানে তীব্র মেরুকরণ দেখা গিয়েছিল হিজাব বিতর্কের সময়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy