বাঁ দিক থেকে, পুতিন, মোদী এবং জ়েলেনস্কি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন বুধবার দুপুরে। কয়েক ঘণ্টা পরেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের সূত্র পাওয়া খবরের ভিত্তিতে প্রকাশিত খবরে দাবি, দুই রাষ্ট্রপ্রধানই লোকসভা ভোটের পরে মোদীকে তাঁদের দেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কূটনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, লোকসভা ভোটে মোদীর জয় সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মঞ্চ যে নিশ্চিত, অঘোষিত ভাবে সে বার্তাই দিতে চেয়েছে তাঁর সচিবালয়।
২০১৮ সালে শেষ বার রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন মোদী। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বৈঠকের ফাঁকে পুতিনের সঙ্গে প্রথম বার মুখোমুখি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই মোদী পুতিনকে বলেছিলেন, ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়।’’ রুশ অধিকৃত ডনেৎস্ক, লুহানস্ক, জ়াপোরিজ়িয়া এবং খেরসনে পুতিন সরকার তথাকথিত গণভোটের আয়োজন করার পরে জ়েলেনস্কিকে ফোনে মোদী আশ্বাস দিয়েছিলেন কোনও অবস্থাতেই ইউক্রেনের অখণ্ডতার প্রতি আঘাতে সায় দেবে না ভারত।
অন্য দিকে, ইউক্রেনের জমি দখলের রুশ তৎপরতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলি প্রস্তাব আনলেও ভারতে সেই ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি। রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ভারত সফরে এসে যুদ্ধ থামাতে মোদীর মধ্যস্থতা মেনে নেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন। বুধবার মোদীর সঙ্গে ফোনালাপে জ়েলেনস্কিও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভারতের উদ্যোগের কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে যুদ্ধবিধস্ত ইউক্রেনে মানবিক সাহায্য পাঠানোর জন্য নয়াদিল্লির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
গত বছরের মে মাসে জাপানে জি-৭ শীর্ষবৈঠকের সময় মোদী-জ়েলেনস্কি বৈঠক হয়েছিল। সে সময়ও শান্তি ফেরাতে ভারতের ‘বৃহত্তর ভূমিকা’র কথা বলেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট, সম্প্রতি আমেরিকায় একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পুতিন ২০২২-এর শেষপর্বে ইউক্রেনের উপর পরমাণু হামলা চালানোর ছক কষেছিলেন। কিন্তু মোদীর সময়োচিত তৎপরতা রুশ প্রেসিডেন্টকে নিবৃত্ত করেছিল। এ বার পূর্ব ইউরোপের সংঘাত থামাতে কি নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে মোদীকে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy