প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা লঙ্ঘন নিয়ে রাজনীতি না করে ফাঁকফোকর বোজানোর নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে এড়িয়ে দুই যুবক লোকসভায় ধোঁয়ার ক্যান খুলে ফেলার ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী-সহ শীর্ষ মন্ত্রীরা ছিলেন। সূত্রের খবর, বৈঠকে মোদী বলেন, লোকসভায় নিরাপত্তা লঙ্ঘনকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যে যেতেও মানা করেন মোদী। বিজেপির নেতারা অবশ্য ইতিমধ্যেই ঘটনার সঙ্গে কংগ্রেস-বাম বিরোধী শিবিরের যোগসূত্র খুঁজতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীর মতে, ‘‘মোদী সেঙ্গোল নিয়ে নতুন সংসদে এসেছিলেন। তাড়াহুড়ো করে সবাইকে নিয়ে পুরনো ভবন থেকে নতুন ভবনে এলেন। এখন কোথায় কী ফাঁক থেকে গিয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ নিয়ে সংসদে কোনও বিবৃতি দিলেন না। দেখেশুনে মনে হয়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতবর্ষের বা এই সংসদের কোনও সম্পর্কই নেই।’’
বিরোধীদের দাবি সত্ত্বেও অমিত শাহ বৃহস্পতিবার সংসদে লোকসভার ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে রাতে একটি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে শাহ বলেন, সংসদের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই। তাঁর যুক্তি, পুলিশ এফআইআর করে তদন্ত শুরু করেছে। লোকসভার স্পিকারের অনুরোধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরি করেছে। তাতে শুধু বুধবারের ঘটনার তদন্ত নয়, কোথায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ফাঁক রয়েছে, তা-ও স্পষ্ট হয়ে যাবে।
শাহ জানান, ১৫-২০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট এসে যাবে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ যদিও মনে করিয়ে দেন, ‘‘নতুন সংসদ ভবনেই গত ২৩ সেপ্টেম্বর মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশের সময় রাজ্যসভার ভিজ়িটর্স গ্যালারি থেকে এক জন মোদীর প্রশংসা করে স্লোগান দেন। তা-ও সংসদের নিয়মের বিরুদ্ধে ছিল। আমরা তদন্তের দাবি জানাই। কোনও তদন্ত হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy