লাদাখ নিয়ে জরুরি বৈঠক মোদী-ডোভালের। —ফাইল চিত্র।
নদীর দু’পারে মুখোমুখি দু’দেশের বাহিনী। এক পক্ষ লাগাতার সেনার সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে। তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে অন্য দিকেও। চিনা ও ভারতীয় সেনার মধ্যে এমন সঙ্ঘাতের পরিস্থিতিতে থমথম করছে গোটা লাদাখ। তার মধ্যেই লাদাখ নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার দু’দফা বৈঠক করেন তিনি। লাদাখে নিরাপত্তা সংক্রান্ত দিকগুলি খতিয়ে দেখতে এবং সেনাবাহিনীর কৌশল ঠিক করতে প্রথমে বৈঠক করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে। কূটনৈতিক অবস্থান ঠিক করতে তার পর আলাদা করে বৈঠক করেন বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গেও।
প্রধানমন্ত্রীর আগে এ দিন লাদাখ নিয়ে একদফা বৈঠক করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহও। তিনবাহিনীর প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখেন তাঁরা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজনাথকে সবিস্তার তথ্য দেন সেনাপ্রধান এমএম নরবণে। লাদাখ সীমান্তের নিরাপত্তা সংক্রান্ত দিকগুলি পর্যালোচনা করে দেখেন তাঁরা।
সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করে ভারতে ঢুকে পড়া নিয়ে একাধিক বার চিনের সঙ্গে সঙ্ঘাতে জড়িয়েছে ভারত। চলতি মাসের গোড়ার দিকে তা নিয়ে নতুন করে দু’দেশের মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়। গত ৯মে উত্তর-পূর্ব সীমান্তে নাকু লা সেক্টরে চিনা বাহিনীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ভারতীয় জওয়ানরা। তাতে বেশ কয়েক জন আহতও হন। দু’পক্ষের আধিকারিকদের হস্তক্ষেপে সাময়িক ভাবে উত্তেজনা কমলেও, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।বরং গত কয়েক দিনে প্যাংগং এবং গালওয়ান উপত্যকায় সেনা মোতায়েন করেছে দু’পক্ষই। গালওয়ান নদীর তীর বরাবর তাঁবু ফেলেছে চিন। শুরুতে সেখানে দু’-তিন হাজার সেনা মোতায়েন করলেও, তা বাড়িয়ে পাঁচ হাজার করা হয়েছে।
এই স্যাটেলাইট ইমেজই সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: গালওয়ানে সেনা তৎপরতা চিনের, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সঙ্ঘাতের পরিস্থিতি
আরও পড়ুন: চিন কাঁটার মধ্যেই নতুন টানাপড়েন নেপালের সঙ্গে
এমনকি গালওয়ানে বেজিং বাঙ্কার তৈরিরও চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে চিনা সেনার ভারতীয় এলাকায় ঢোকা নিয়ে এর আগেও দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। কিন্তু যে গালওয়ানে চিনা সেনার সমাবেশ ঘটেছে, তা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে কোনও কালেই বিরোধ ছিল না। আর তাতেই উদ্বেগ বেড়েছে ভারতের। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ছ’দফা বৈঠক হয়েছে দু’পক্ষের কমান্ডারদের মধ্যে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
এ দিকে, মঙ্গলবারই লাদাখ সীমান্ত এলাকা থেকে বেশ কিছু স্যাটেলাইট ইমেজ সামনে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, প্যাংগং থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে তিব্বতের নারি গানসা বিমানঘাঁটিতে হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান অবতরণের জন্য প্রয়োজনীয় নির্মাণকাজ চলছে। বিমানঘাঁটির টারম্যাকে সারি দিয়ে চারটি যুদ্ধবিমান দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা গিয়েছে একটি ছবিতে। সেগুলি চিনা বাহিনীর জে-১১ এবং জে-১৬ যুদ্ধবিমান হতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের, যা কিনা ভারতের সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানের সমকক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy