মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) রাজীব কুমার অবসর নেবেন মঙ্গলবার। তাঁর উত্তরসূরি মনোনীত করতে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের নিয়োগ কমিটি বৈঠক করল। যার অন্যতম সদস্য লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। কিন্তু বুধবার সুপ্রিম কোর্টে এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি থাকায় নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার দাবি তুলল কংগ্রেস।
কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন সোমবার রাতে বলেন, ‘‘আজ সিইসি মনোনয়ন সংক্রান্ত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। কংগ্রেস মনে করে, যে হেতু সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে ১৯ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে এবং কমিটির গঠন কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, এমন পরিস্থিতিতে আজকের বৈঠকটি স্থগিত করা উচিত ছিল।’’ যদিও সূত্রের খবর, রাজীবের উত্তরসূরি হিসেবে দুই নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে ‘সিনিয়র’ জ্ঞানেশ কুমারকে বেছে নিয়েছে কেন্দ্র। তাঁর নাম অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদী সরকার নির্বাচন কমিশনের দখল নিতে সক্রিয় হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, দেশে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবে একটি কমিটি। এই কমিটির সদস্য হিসাবে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা। সুপ্রিম কোর্টের এই পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক’ বলেছিল বিরোধী দলগুলি। কিন্তু মোদী সরকার প্রস্তাবিত কমিটি থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নাম ছাঁটাই করে ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী’র নাম নিয়োগ কমিটিতে ঢোকাতে সে বছর সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ‘চিফ ইলেকশন কমিশনার অ্যান্ড আদার ইলেকশন কমিশনারস’ (অ্যাপয়েন্টমেন্ট, কন্ডিশনস অফ সার্ভিসেস অ্যান্ড টার্মস অফ অফিস) বিল ২০২৩’ পাশ করিয়েছিল। কেন্দ্রের সেই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা মামলা এখন শীর্ষ আদালতের বিচারাধীন। বুধবার তারই শুনানি রয়েছে।