রোজগার মেলা কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
প্রতিশ্রুতি মেনে দীপাবলির আগেই চাকরি দেওয়ার ‘রোজগার মেলা’ কর্মসূচি শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ৭৫,০০০ জন নির্বাচিত প্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন তিনি। ওই কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘কোভিড পরিস্থিতি এবং তার পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নানা সমস্যার জেরে অর্থনীতিতে আঘাত এসেছে। সেই আঘাত থেকে দেশের যুবসমাজকে রক্ষা করতেই এই উদ্যোগ।’’
শনিবার মোদী যাঁদের হাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের ৩৮টি মন্ত্রকের গ্রুপ এ এবং বি (গেজেটেড), গ্রুপ বি (নন-গেজেটেড) এবং গ্রুপ সি-র বিভিন্ন পদে যোগ দেবেন। অতিমারি এবং তাঁর পরবর্তী অনিশ্চতার কারণে বেশ কয়েকটি দেশে, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্বের মতো সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে শনিবার জানান প্রধানমন্ত্রী। গত এক শতাব্দী ধরে কর্মসংস্থানের সমস্যা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘১০০ বছরের এই সমস্যার ১০০ দিনের মধ্যে সমাধান করা সম্ভব নয়।’’
যে পদগুলির জন্য নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর, কনস্টেবল, এলডিসি, স্টেনোগ্রাফার, পিএ, আয়কর ইন্সপেক্টর, এমটিএস এবং অন্যান্য। এই পদগুলিতে সংশ্লিষ্ট দফতর বা মন্ত্রকগুলির দ্বারা অথবা ইউপিএসসি, এসএসসি ও রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের দ্বারা নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রধানমন্ত্রী শনিবার জানান, কোভিড পর্বে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের (এমএসএমই) সহায়তায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করেছে কেন্দ্র। ওই ক্ষেত্রে কর্মরত অন্তত দেড় কোটি মানুষ তাতে উপকৃত হয়েছেন।
জুন মাসে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছিল, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে দেড় বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ নিয়োগ করার লক্ষ্য নিয়েছেন মোদী। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতেই এই ‘রোজগার মেলা’র উদ্যোগ। কিন্তু হিমাচল প্রদেশে ভোট ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। এখনও ঘোষণা না হলেও চলতি বছরে মোদী রাজ্য গুজরাতেও বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় এলে বছরে ২ কোটি চাকরির বন্দোবস্ত করবেন বলে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলে কর্মসংস্থান নিয়ে মোদী সরকারকে একাধিক বার নিশানা করেছে কংগ্রেস, তৃণমূল, বাম-সহ বিরোধী শিবির। শনিবার কংগ্রেসের তরফে রোজগার মেলাকে ‘ভোটের আগে নাটক’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy