শেখ হাসিনা, মানিক সরকার ও নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র
আগামী ২৬ তারিখ বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে মঙ্গলবার নতুন সেতু মারফত যোগসূত্র তৈরি হল ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের। ত্রিপুরায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর ফেনি নদীর উপরে মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে। ভিডিয়ো-বার্তা দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
ত্রিপুরার দক্ষিণ সাব্রুমের সঙ্গে এই সেতুর মাধ্যমে যুক্ত হল বাংলাদেশের রামগড় উপজেলা। এই সেতুর মাধ্যমে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার সঙ্গে সড়ক পথে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের যোগাযোগের সুবিধা বাড়বে বলেই দুই দেশের সরকারের দাবি।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পের উদ্বোধনী বক্তৃতায় স্মরণ করেছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে। বলেছেন, ‘‘দশ বছর আগের কথা। ত্রিপুরার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী (মানিক সরকার) আমার কাছে এই সেতু তৈরির অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তাঁর অনুরোধের পরে আমরা ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্প রূপায়ণের কাজ করেছি।’’
হাসিনার দাবি, ‘‘চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে পণ্য পরিবহণ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ থেকেও পণ্য ফেনি-মৈত্রী সেতু দিয়ে ভারতে পাঠানো সহজ হবে।’’
বাংলাদেশের স্বাধীনতার এবং ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের এটি পঞ্চাশতম বছর। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষও। এই আবহে আজ বঙ্গবন্ধু-কন্যা মনে করিয়েছেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকার কথা। বলেছেন, ‘‘একাত্তরে ভারত বাংলাদেশের মানুষকে আশ্রয় এবং সাহায্য দিয়েছিল। আমরা তা ভুলিনি। আজ পুরো অঞ্চলের সমৃদ্ধির জন্য এই দু’দেশ ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।’’
সেতু উদ্বোধনের পরে মোদী বলেন, ‘‘বাংলাদেশ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে কার্যত একটি বাণিজ্য করিডর তৈরি হল।’’ দশ বছর আগে ত্রিপুরার বাম সরকারের সেতু তৈরির প্রস্তাবের কথা অবশ্য মুখে আনেননি তিনি। বরং বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশ সফরের সময়ে আমি এবং শেখ হাসিনা ত্রিপুরাকে বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করার জন্য এই সেতুর শিলান্যাস করেছিলাম। আজ ভারত ও বাংলাদেশের সংযোগ অনেকটা শক্তিশালী হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, এতে ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুরের মতো রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যোগাযোগ বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy