চিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট মুছলেন মোদী।
লাদাখ সীমান্তে সঙ্ঘাতের আবহে ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে মোদী সরকার। সেই তালিকায় রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ‘ওয়েইবো-ও। নিষেধাজ্ঞা জারির দু’দিনের মাথায় মোদীর ‘ওয়েইবো’ অ্যাকাউন্ট মুছে দেওয়া হল। ২০১-য় চিন সফরের আগে ‘ওয়েইবো’-তে নরেন্দ্র মোদীর নামে ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছিল।
সরকারি একটি সূত্রের মতে, ৫৯টি চিনা অ্যাপের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির দিনেই নিজের ‘ওয়েইবো’ অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন মোদী। কিন্তু অ্যাকাউন্টটি মুছে ফেলতে এত সময় লাগল কেন? ওই সূত্রের দাবি, ভিআইপি অ্যাকাউন্টের গ্রাহকদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু নীতি থাকে। তা মেনে চলতে হয়েছে ভারতকেও। ফলে এই দেরি হয়েছে।
As soon as the decision was taken to disallow Chinese 59 Apps in India, Prime Minister Narendra Modi decided that he would be quitting Weibo, which he had joined a few years ago: Sources pic.twitter.com/vDnIZwEqyF
— ANI (@ANI) July 1, 2020
ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ‘ওয়েইবো’-তে মোট ১১৫টি পোস্ট করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তার মধ্যে প্রথমে ১১৩টি পোস্ট মুছে দেওয়া হয়েছিল। বাকি ২টি পোস্ট ছিল মোদী এবং চিনফিংয়ের ছবি নিয়ে। ‘ওয়েইবো’-তে চিনা প্রেসিডেন্টের ছবি মুছে ফেলা মুশকিল, তাই সেগুলি তখনও পর্যন্ত রয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করেছে ওই সূত্রটি। যদিও এখন সব পোস্টই মুছে দেওয়া হয়েছে। নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে ভারত থেকে ‘ওয়েইবো’ খোলা যাচ্ছিল না। তাই সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে, প্রধানমন্ত্রীর ‘ওয়েইবো’ অ্যাকাউন্ট থেকে ছবি, কমেন্ট এবং পোস্ট মুছে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোট বড় বালাই, বিধান রায়ই পথ, বললেন সোমেন, মানলেন সুজন
২০১৫-র ৪ মে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে চিন সফরের আগে ‘ওয়েইবো’-তে অ্যাকাউন্ট খোলেন মোদী। তার পর থেকে ওই অ্যাকাউন্টে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ক্রমশই বেড়েছে। ‘ওয়েইবো’-তে ২ লক্ষ ৪৪ হাজার ফলোয়ার ছিল মোদীর। এর মধ্যে বেশির ভাগই চিনা নাগরিক। ২০১৫ থেকে ওই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ১৫ জুন, চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের জন্মদিন উপলক্ষে তাঁকে শুভেচ্ছাও জানান মোদী। তবে সীমান্ত সঙ্ঘাতের আবহে এ বছর সেই প্রথায় ছেদ পড়ে। এ ছাড়াও, চিনফিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর ওই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন মোদী। চিনা নাগরিকদের উদ্দেশে চিনা ভাষাতেই পোস্ট করা হত।
আরও পড়ুন: ১ অগস্টের মধ্যে সরকারি বাংলো ছাড়তে নির্দেশ প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে
চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার পর, এ বার সড়ক নির্মাণে চিনা সংস্থাকে বরাত দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি। পাশাপাশি, যৌথ উদ্যোগে সড়ক নির্মাণের দায়িত্বও কোনও চিনা সংস্থাকে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পেও কোনও চিনা সংস্থাকে বিনিয়োগ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। নতুন করে কোনও টেন্ডারে চিনা সংস্থাকে অংশগ্রহণ করতে না দিলেও, মাঝপথে থাকা প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ করার ব্যাপারে চিনা সংস্থাকে ছাড় দেওয়া হবে বলে মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy