গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
লোকসভা ভোটের আগে আবার তিন তালাক বাতিলের প্রসঙ্গটি মুসলিম মহিলা সমাজের সামনে তুলে ধরতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার রাতে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশার এনডিএ সাংসদদের বৈঠকে তিনি এমনই পরামর্শ দিয়েছেন বলে প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি করা হয়েছে।
লোকসভা ভোটে ‘ইন্ডিয়া’র মোকাবিলায় জোট রাজনীতিকেই ‘পাখির চোখ’ করছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যেই ৩১ জুলাই থেকে ১০ অগস্ট পর্যন্ত এনডিএর ১১ দলের মোট ৪৩০ জন লোকসভা এবং রাজ্যসভা সাংসদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রী মোদীর। বিজেপি এবং তার সহযোগী দলগুলির সাংসদদের এই ধারাবাহিক বৈঠকের প্রথম দিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) যোগ দিয়েছিলেন বাংলা-সহ পূর্ব ভারতের তিন রাজ্যের সাংসদেরা। সেখানেই মোদীর মুখে তিন তালাক বাতিলের প্রসঙ্গে প্রচারের পরামর্শ শোনা গিয়েছে বলে বিজেপির ওই সূত্র জানিয়েছে।
ঘটনাচক্রে, ২০২১ সালে বাংলায় নীলবাড়ির ল়ড়াইপর্বেও মোদীর প্রচারে তিন তালাক বাতিলের প্রসঙ্গ এসেছিল। সে বছরের ১০ এপ্রিল কৃষ্ণনগরে বিজেপির সভায় মোদী বলেন, ‘‘মুসলমান মা-বোনেরা দিদিকে (তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) অনেক সমর্থন দিয়েছেন। কিন্তু দিদি তাঁদের সঙ্গে খুব খারাপ কাজ করেছেন। তাঁদের তিন তালাক প্রথা থেকে মুক্ত করতে কড়া আইন এনেছে বিজেপি সরকার। কিন্তু দিদি মুসলিম বোন এবং কন্যাদের স্বার্থবিরোধী কাজ করছেন।’’ মুসলিম মহিলারাও স্বাধীনতা চান, নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে চান বলে উল্লেখ করে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘দিদি মুসলিম মেয়েদের থেকে কট্টরপন্থীদের কথা বেশি চিন্তা করেছেন।’’
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই তিন তালাক প্রথার অবসান চেয়ে সক্রিয় হয়েছিলেন মোদী। ২০১৭-য় ‘তাৎক্ষণিক তিন তালাক’ (তালাক-ই-বিদ্দত) প্রথাকে ‘অসাংবিধানিক’ তকমা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টও। তার পরেই তিন তালাককে ফৌজদারি অপরাধের তকমা দিয়ে তিন বছরের জেলের নিদান দিয়ে বিল আনে মোদী সরকার। কিন্তু প্রথম বার সেই বিল পাশ করাতে ব্যর্থ হয় তারা। ২০১৯ সালে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসেই তাই অসমাপ্ত কাজ সেরে ফেলতে উদ্যোগী হন মোদী-শাহরা। ওই বছরের জুলাই মাসে প্রথমে লোকসভা এবং তার পরে রাজ্যসভায় পাশ করানো হয় তালাক-ই-বিদ্দতকে ফৌজদারি অপরাধের তকমা দেওয়া বিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy