গ্রুপ ক্যাপ্টেন বালাকৃষ্ণণ নায়ার, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণণ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্ল। ছবি: সংগৃহীত।
গগনযানে সওয়ার হয়ে মহাকাশে পাড়ি দেবেন চার নভশ্চর। প্রথম বার দেশের প্রতিনিধি হিসাবে যাঁরা মহাকাশে যাবেন, মঙ্গলবার তাঁদের নাম ঘোষণা করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার থেকে ওই চার জনের নাম ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। চার জনই ভারতীয় বায়ুসেনা (আইএএফ)-র আধিকারিক। তাঁরা হলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বালাকৃষ্ণণ নায়ার, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণণ এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্ল।
উইং কমান্ডার কিংবা গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসাবে যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় দক্ষ এই চার জন। তবে বেঙ্গালুরুতে বায়ুসেনার নভশ্চর কেন্দ্রে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। বায়ুসেনারই ইনস্টিটিউট অফ এরোস্পেস মেডিসিনে এই চার জনকে বেছে নেওয়া হয়। বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার তাঁদের নাম ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৯ সালে ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টার বা ইসরো) এবং রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা গ্লাভকসমসের মধ্যে একটি মউ (সমঝোতাপত্র) স্বাক্ষরিত হয়। তার পর সম্ভাব্য অন্য নভশ্চরদের সঙ্গে রাশিয়ার ইউরি গ্যাগারিন কসমোনট ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই চার জনকেও। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ চলে।
মহাকাশের ৪০০ কিলোমিটার কক্ষপথে মানুষকে পাঠানোর যে পরিকল্পনা, তার অঙ্গ হিসাবে গত অক্টোবর মাসেই পরীক্ষামূলক ভাবে মহাকাশে মানববিহীন গগনযান পাঠায় ইসরো। মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানোর পর কী ভাবে তাঁদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা যায়, তা খুঁটিয়ে দেখতেই এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়। গগনযানের উৎক্ষেপণ সফল হলে দ্বিতীয় ধাপে ‘ব্যোমমিত্রা’ বলে একটি রোবটকে মহাকাশে পাঠাবে ইসরো। সেই অভিযান সফল হলে ২০২৪-২৫ সালে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হবে। তিন দিন মহাকাশে থাকার পর চার মহাকাশচারীকে নিয়ে ফিরে আসবে গগনযান।
সম্প্রতি গগনযানের সিই২০ ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনটি সফল ভাবে পরীক্ষা করে দেখেছে ইসরো। ওই ইঞ্জিন গগনযানের একটি বিশেষ পর্যায়ে মহাকাশচারীদের শক্তি জোগাবে বলে জানা গিয়েছে। ক্রায়োজেনিক পর্যায়ে যখন আশপাশের তাপমাত্রা অত্যন্ত কম থাকে, ওই সময়ে ইঞ্জিনটি কাজে লাগবে বলে জানিয়েছে ইসরো। ইসরোর মহাকাশচারীদের যে যানে করে গগনযান অভিযানে পাঠানো হবে, তার নাম লঞ্চ ভেহিক্ল মার্ক ৩ (এলভিএমথ্রি)। গত বছর থেকেই গগনযানের একাধিক যন্ত্রপাতির পরীক্ষানিরীক্ষা করে চলেছে ইসরো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy