প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
‘রেকর্ড’ আসন জিতে টানা তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘পাখির চোখ’ সংখ্যালঘু ভোট। সম্প্রতি দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী বৈঠকে সেই লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য পূরণে তাই কোমর বাঁধছে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা। ফেব্রুয়ারির ১ ও ২ তারিখ মধ্যপ্রদেশের রায়পুরে বসতে চলেছে মোর্চার জাতীয় কার্যনির্বাহী বৈঠক। সেই বৈঠকেই পরিকল্পনা চূড়ান্ত হতে পারে।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী বার্তা দিয়েছেন, সংখ্যালঘুদের বিজেপির সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। তা কাজে লাগাতে হবে। তিনি জানান, এখনই সকলে ভোট দিয়ে দেবেন, এমন ভাবনা ভুল। তাই ভোটের কথা না ভেবে, জনসংযোগ গড়ে তুলতে হবে। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। বিজেপির রাজ্য কার্যনির্বাহী বৈঠকে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ কার্যত সেই বার্তাই তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে তিনি জেলে, ছুতর , কামার, মাঝি প্রভৃতি অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মজীবী মানুষকে সংগঠিত করার কথাও বলেন। বস্তুত দলের সেই বার্তার পরই দেখা যায় আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির প্রতিবাদে পথে নামে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা।
সূত্রের খবর, সারা দেশের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৬০ আসনের উপর বিশেষ নজর দিয়েছে বিজেপি। তার মধ্যে আমাদের রাজ্যেই আছে ১৩টি। তালিকায় লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীর বহরমপুর আসন যেমন রয়েছে, তেমনই আছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র। এছাড়া তালিকায় থাকা রায়গঞ্জ, মালদা উত্তরের মতো আসনে গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতেছিল।
সূত্রের দাবি, বাংলায় কর্মসূচিকে মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা হতে পারে। প্রথম ভাগে পিছিয়ে পড়া মুসলিম পরিবারের সঙ্গে গণ যোগাযোগ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ‘সৌহার্দ্য যাত্রা’র মাধ্যমে প্রতিটি লোকসভার ১০ হাজার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। দ্বিতীয় ভাগে ধর্মগুরুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সম্ভবনা রয়েছে। তৃতীয় ধাপে স্থানীয় সংখ্যালঘু সমাজের বুদ্ধিজীবী, সমাজকর্মী, প্রতিষ্ঠিতদের সঙ্গে জনসংযোগ করা হতে পারে। তবে এই প্রচার কর্মসূচির চূড়ান্ত রূপরেখা কী হবে কিংবা কবে থেকে শুরু হবে তা মোর্চার কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী বৈঠকের পরই স্থির হবে।
রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি চার্লস নন্দী জানান, এই রাজ্যে এই কাজ বহু আগেই শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার আট বছরে সংখ্যালঘু উন্নয়নে ৪৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তার মধ্যে ১৬ হাজার কোটি টাকার শুধু স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। যার আট হাজার কোটি টাকার স্কলারশিপ পেয়েছেন সংখ্যালঘু পরিবারের মেয়েরা। আমরা এই তথ্য-পরিসংখ্যান নিয়ে তাদের কাছে যাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy