মুখে বত্রিশ পাটি দাঁত রয়েছে, তাই চিবোতেও হবে বত্রিশবার! বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষায় বসতে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে আজ এমনই পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে গিয়ে মোদী প্রশ্ন করেন, তোমাদের মধ্যে কত জন আছ যারা এই মরসুমে গাজর চিবিয়ে খাও? পড়ুয়ারা নির্দিষ্ট জবাব দেয় না। মোদী বলেন, জুস তো খাও নিশ্চয়ই। জবাব আসে, হ্যাঁ। পড়ুয়াদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী ফের প্রশ্ন ছুড়ে দেন, কোন কোন জিনিস খাওয়া ঠিক নয়? পরীক্ষার্থীরা সমস্বরে বলে ওঠে, জাঙ্ক ফুড! এক জন ব্যাখ্যা দিয়ে বলে, তেলেভাজা খাবার, ময়দা খাওয়া উচিত নয়। কারণ, ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
এর পরেই মোদী জানতে চান, কী ভাবে খেতে হয়, সেটা কী তোমরা বলতে পারবে? আমাদের ক’টা দাঁত রয়েছে? হইহই করে পড়ুয়ারা বলে, বত্রিশ। মোদী পাল্টা বলেন, বত্রিশ! কখনও কখনও স্কুলের শিক্ষকেরা পরামর্শ দেন, বাড়িতে বাবা-মাও বলেন, বত্রিশ পাটি দাঁত যখন রয়েছে, তখন কমপক্ষে বত্রিশ বার চিবোনো উচিত। পড়ুয়ারা জবাব দেয়, হ্যাঁ, স্যর! চিবোনো উচিত। মোদী জানিয়ে দেন, কী ভাবে খেতে হবে, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চিবানো বিষয়ক আলোচনা শেষ হলে পরীক্ষার্থীদের কাছে মোদী জানতে চান, তোমাদের মধ্যে কত জন রয়েছ, যারা জল খাওয়ার সময় স্বাদ বুঝতে পেরেছ? মানে, জলের স্বাদ নিতে খুবই মজা লেগেছে— এমন কত জন আছ? ও দিক থেকে জবাব আসে, ইয়েস স্যর!
পরীক্ষা পে চর্চা-র অষ্টম পর্বে এ ভাবেই পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে মোদীর কথোপকথন এগোতে থাকে। অনুষ্ঠানে যোগ দেন অভিভাবক, শিক্ষকেরাও।
পড়ুয়াদের উদ্দেশে মোদীকে বলতে শোনা গিয়েছে, তোমাদের ব্যর্থতাকে নিজের শিক্ষক হিসেবে দেখতে শেখো। শুধু পড়াশোনাতেই সাফল্য খুঁজলে হবে না। সাফল্যের ব্যাপারটাকে সামগ্রিক ভাবে দেখতে হবে। বোর্ডের পরীক্ষায় ৯৫ শতাংশ নম্বর পাওয়ার আশা রেখে এক ছাত্রী পেয়েছে ৯৩ শতাংশ। তার হতাশা কাটাতে মোদী বলেন, ‘‘এটা ব্যর্থতা নয়, সাফল্য। তোমার লক্ষ্য যদি ৯৭ হয়, নিশ্চয়ই ৯৫ পাবে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)