গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
আক্রমণের জবাবে প্রতি আক্রমণ! রেপ ইন ইন্ডিয়া মন্তব্যে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই, উল্টে প্রধানমন্ত্রীকেই ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তুললেন রাহুল গাঁধী। হাতিয়ার করলেন ২০১২ সালে নির্ভয়া কাণ্ডের সময় নরেন্দ্র মোদীর ‘রেপ রাজধানী’ মন্তব্য। ওই মন্তব্যের জেরে এবং দেশের উত্তর-পূর্বে আগুন জ্বালানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে দাবি করেন রাহুল। সেই সঙ্গে তাঁর তোপ, উত্তর-পূর্বের অশান্ত পরিস্থিতি থেকে নজর ঘোরাতেই বিজেপির এই পরিকল্পনা।
বিতর্কের সূত্রপাত ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় একটি নির্বাচনী জনসভায় মোদী সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ স্লোগানকে কটাক্ষ করে ‘রেপ ইন ইন্ডিয়া’ রাহুল গাঁধী। তার জেরে শুক্রবার লোকসভায় রাহুলের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সোচ্চার হন বিজেপি সাংসদরা। রাহুল গাঁধীর শাস্তি এবং ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি লোকসভায় তীব্র আক্রমণ করে বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধীর এই মন্তব্য দেশবাসীর অপমান।’’ বিজেপি সাংসদদের হই হট্টগোলে অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়।
পরে সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের রাহুল গাঁধী পাল্টা জবাব দেন। তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘‘আমি কিছুতেই ক্ষমা চাইব না।’’ রাহুলের যুক্তি, ‘‘আমার মোবাইলে একটি ক্লিপ আছে, যাতে আপনারা শুনতে পাবেন মোদী (নরেন্দ্র মোদী) দিল্লিকে রেপ ক্যাপিটাল বলছেন। আমি সেটা টুইটারে পোস্ট করছি। যে কেউ সেটা দেখতে পারেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মোদী এবং অমিত শাহ উত্তর-পূর্বে আগুন জ্বালিয়েছেন। সেই ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতেই আমাকে এ ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে।’’
Modi should apologise.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) December 13, 2019
1. For burning the North East.
2. For destroying India’s economy.
3. For this speech, a clip of which I'm attaching. pic.twitter.com/KgPU8dpmrE
২০১২ সালে দিল্লিতে চলন্ত বাসে তুলে তরুণীকে গণধর্ষণ ও অকথ্য নির্যাতন করে খুনের ঘটনা ঘিরে সেই সময় উত্তাল হয়েছিল দেশ। সেই সময় কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল ইউপিএ জোট। বিরোধী বিজেপি-তথা এনডিএ শিবিরের প্রধান মুখ হিসেবে তখন উঠে এসেছেন নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় তিনি দিল্লিকে ‘রেপ ক্যাপিট্যাল’ বা ‘ধর্ষণের রাজধানী’ বলেছিলেন। সেই মোদীই এখন প্রধানমন্ত্রী। পরে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা মোদীর বক্তব্যের ওই অংশের একটি ভিডিয়ো টুইটও করেন।
মোদীর সেই মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরেই রাহুলের দাবি, ‘‘উত্তর-পূর্বে আগুন জ্বালানো, দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা এবং দিল্লিকে দেশের ধর্ষণের রাজধানী বলার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীরই ক্ষমা চাওয়া উচিত।’’
ঝাড়খণ্ডের সভায় তাঁর যে মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক, তার ব্যাখ্যাও এ দিন দিয়েছেন রাহুল। বলেন, ‘‘আমি বলেছি, নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ হবে। আমরা ভেবেছিলাম সংবাদপত্রের শিরোনাম হবে শুধু মেক ইন ইন্ডিয়া। কিন্তু সংবাদপত্র খুলুন, শুধু দেখতে পাবেন সর্বত্র রেপ ইন ইন্ডিয়া।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy