আরএসএসের প্রচারক থেকে রাজনীতিতে উঠে এলেও নরেন্দ্র মোদী রোজকার অনুষ্ঠানে আরএসএস নিয়ে কথা বলেন না। শুক্রবার ভাষা দিবস উপলক্ষে দিল্লিতে মরাঠি সাহিত্য সম্মেলনে তার ব্যতিক্রম হল। বিজ্ঞান ভবনের মঞ্চে আরএসএসের অবদানের ঢালাও প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর নিজের জীবনে আরএসএসের ভূমিকার কথাও বললেন।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, লোকসভা নির্বাচনের পরে বিজেপির সঙ্গে আরএসএসের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, সেই দূরত্ব মিটিয়ে মহারাষ্ট্র-হরিয়ানা-দিল্লির ভোটে আরএসএসের সক্রিয় ভূমিকার জন্যই মোদী কি সঙ্ঘের প্রকাশ্যে প্রশংসা করলেন? না কি আরএসএস ও মোদীর কাছে গ্রহণযোগ্য কোনও ব্যক্তিকে বিজেপির পরবর্তী জাতীয় সভাপতি করার বিষয়ে রফা হয়ে গিয়েছে!
আজ অখিল ভারতীয় মরাঠি সাহিত্য সম্মেলনের অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী তাঁর সঙ্গে শরদ পওয়ারের ব্যক্তিগত সম্পর্কের দিকেও ইঙ্গিত করেছেন। শরদ পওয়ারের এনসিপি ভেঙে তাঁর ভাইপো অজিত পওয়ারকে বিজেপির দিকে টেনে আনলেও আজ মোদী বিজ্ঞান ভবনের মঞ্চে পওয়ার আসতে তাঁকে উঠে দাঁড়িয়ে চেয়ারে বসতে সাহায্য করেছেন। তার পরে পওয়ারের জন্য নিজেই বোতল থেকে গ্লাসে জল ঢেলে দিয়েছেন। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য পওয়ারকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
মোদী আরএসএসের প্রশংসায় বলেন, মহারাষ্ট্রের মাটিতেই মরাঠিভাষী এক মহাপুরুষ একশো বছর আগে আরএসএসের বীজ বপন করেছিলেন। আজ তা বটবৃক্ষের মতো শতবর্ষ পালন করছে। বেদ থেকে বিবেকানন্দ পর্যন্ত ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সংস্কার যজ্ঞ চালাচ্ছে। এ নিয়ে গর্ব করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার মতো লাখো মানুষকে দেশের জন্য বাঁচার অনুপ্রেরণা দিয়েছে আরএসএস। সঙ্ঘের জন্যই আমার মরাঠি ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)