ফাইল ছবি
হিন্দি ভাষাকে কেন্দ্র করে দেশে বিভেদ সৃষ্টির জন্য বিরোধীদের দায়ী করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার বিজেপির দলীয় পদাধিকারীদের বৈঠকে ভার্চুয়াল বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘‘ভাষার বৈচিত্র্য এ দেশের সম্পদ। কিন্তু তা নিয়েও বিতর্ক তৈরির চেষ্টা দেখা যাচ্ছে।’’
শুক্রবার থেকে জয়পুরে শুরু হয়েছে দু’দিনের ওই বৈঠক। তাতে ভাষা বিতর্কের জন্য মোদী বিরোধী শিবিরকে দায়ী করলেও, বিরোধীদের বক্তব্য, ওই বিতর্ক শুরু করেছেন অমিত শাহই। গত মাসে রাজভাষা সংক্রান্ত বৈঠকে শাহ দাবি করেন, দেশের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্তত ৭০ শতাংশ বিষয় এখন হিন্দিতেই লিপিবদ্ধ হয়ে থাকে। তাঁর পরামর্শ ছিল, যদি দুই অ-হিন্দিভাষী গল্প করেন, সেখানে যেন বিদেশি ভাষার পরিবর্তে (ইংরেজি) ভারতীয় ভাষায় (হিন্দি) কথাবার্তা হয়।
তবে শাহ যে ভাবে গোটা দেশে ব্যবহারিক ভাষার প্রশ্নে হিন্দির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন, তা থেকে কিছুটা সরে আসতে দেখা গিয়েছে মোদীকে। তিনি বলেন, “ভাষাকে কেন্দ্র করে অহেতুক বিবাদ তৈরির চেষ্টা শুরু হয়েছে। বিজেপি প্রত্যেক ভাষাকে সম্মান করে। আঞ্চলিক ভাষা ভারতের উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ সেতু। সেই কারণেই জাতীয় শিক্ষা নীতিকে প্রতিটি আঞ্চলিক ভাষাকে সমগুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যা আমাদের আঞ্চলিক ভাষার প্রতি দায়বদ্ধতাকেই প্রমাণ করে। ’’
শুক্রবার মোদীর বার্তা শুনে কংগ্রেসের এক নেতার প্রশ্ন, তা হলে কি ধরে নিতে হবে ভাষা প্রশ্নে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের মতপার্থক্য রয়েছে। কারণ, দু’জনে পরস্পরবিরোধী কথা বলছেন। রাজনীতির মহলের অনেকের মতে, এটি পূর্বপরিকল্পিত পদক্ষেপ। সঙ্ঘ তথা বিজেপির দীর্ঘ দিনের লক্ষ্য, দেশে একটি ভাষাকেই প্রাধান্য দেওয়া। এবং তা হল হিন্দি। শাহ এ নিয়ে সুর চড়িয়ে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলকে চটিয়ে রেখেছেন। এ দিকে সামনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। যেখানে আঞ্চলিক দলগুলির সমর্থন প্রয়োজন হবে বিজেপির। তাই শুক্রবার হিন্দি ভাষা প্রশ্নে সুর নরম করার কৌশল নিলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিরোধীদের মতে, হিন্দি আরও পাঁচটা স্বীকৃত ভাষার মতোই সরকারি কাজে ব্যবহারের ভাষা। সেই হিন্দিকেই জোর করে রাষ্ট্রভাষা করার নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিরোধীদের কথায়, এ হল সঙ্ঘের হিন্দু-হিন্দুস্তান-হিন্দি নীতির অঙ্গ। সেই কারণে জাতীয় শিক্ষা নীতিতে গোড়ায় হিন্দি ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক করতে চেয়েছিল মোদী সরকার। মূলত দক্ষিণের রাজ্যগুলির চাপে পরে পিছিয়ে যায় তারা। তবে শাহের বক্তব্যেই স্পষ্ট, বিজেপি মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে আসেনি। মোদীর শুক্রবারকের বক্তৃতা সাময়িক কৌশল মাত্র বলেই তাঁদের মত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy