—প্রতীকী ছবি।
‘পিএম কেয়ার্স’ ফান্ড নিয়ে ফের বয়ান পাল্টাল কেন্দ্র। এর আগে ওয়েবসাইটে তথ্য প্রকাশ করে কেন্দ্র জানিয়েছিল, পিএম কেয়ার্স সরকারি তহবিল নয়। এ বার নয়া আরটিআই আবেদনের উত্তরে জানানো হল, পিএম কেয়ার্স সরকারি ফান্ড। যদিও সেই তহবিল আরটিআই-এর আওতায় নয়। ফলে করোনা মোকাবিলায় গঠিত এই তহবিল নিয়ে ফের বাড়ল বিভ্রান্তি।
একটি আরটিআই আবেদনের ভিত্তিতে শুক্রবার কেন্দ্র জানিয়েছে, ‘‘পিএম কেয়ার্স একটি সংস্থা, যার মালিকানা, নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে রয়েছে এবং প্রতিষ্ঠা করেছে ভারত সরকার।’’ কিন্তু একই সঙ্গে এটাও বলা হয়েছে, ‘‘এই তহবিলে ব্যক্তিগত, বিভিন্ন সংস্থা, প্রবাসী ভারতীয়, বিদেশি সংস্থা ও সংঠন থেকে অনুদান মিলেছে। কোনও ভাবেই সরকারি অনুদান দেওয়া হয়নি। সংস্থার পরিচালন-প্রশাসনে ব্যক্তি ও ট্রাস্টি রয়েছে। তাই তথ্য জানার অধিকার আইনের ২(এইচ) ধারা অনুযায়ী এই তহবিল আরটিআই-এর আওতায় পড়ে না।’’ একই সঙ্গে এও বলা হয়েছে যে, পিএম কেয়ার্সকে সরকারি ভাবা যাবে না। অর্থাৎ এই বয়ানেও এমন ধোঁয়াশা রয়েছে যে, এই তহবিল নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার অথচ তা সরকারি তহবিল নয়।
আবার ওই নথি থেকেই জানা গিয়েছে, ‘প্রাইম মিনিস্টার্স সিটিজেন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যান্ড রিলিফ ইন এমার্জেন্সি সিটুয়েশন ফান্ড’ বা সংক্ষেপে ‘পিএম কেয়ার্স ফান্ড’ গঠন করা হয়েছিল দিল্লির রেভিনিউ বিভাগের অধীনে। সেই ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সদস্য কেন্দ্রের একাধিক মন্ত্রী। অথচ সম্প্রতি পিএম কেয়ার্সের ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, পিএম কেয়ার্স ফান্ড সরকারি সংস্থা নয়।
আরও পড়ুন: এনআরসি-ক্ষুব্ধ শান্তনু ঠাকুর কি দলে থাকবেন, উদ্বেগে বিজেপি
আরও পড়ুন: কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে মোদীর আক্রমণ মমতাকে, পাল্টা আক্রমণে তৃণমূল
এ বছরের ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘পিএম কেয়ার্স’ তহবিলের ঘোষণা করেন। তহবিল গঠনের উদ্দেশ্য ছিল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং লকডাউনের জেরে আর্থিক ক্ষতি সামাল দেওয়া। সেই তহবিল নিয়ে বরাবরই বিরোধীরা আক্রমণ করে আসছে। ওই ফান্ডের টাকা কী ভাবে খরচ হচ্ছে, কারা কত অনুদান দিয়েছেন, কী ভাবে তা ব্যয় করা হচ্ছে, সেই সব তথ্য প্রকাশ করার দাবি জানিয়ে আসছে বিরোধী দলগুলি। জমা পড়েছে বহু আরটিআই আবেদনও। কিন্তু সেই আরটিআই-আবেদনগুলির কোনওটিরই যে আর জবাব দেবে না কেন্দ্র, তা জানিয়ে দেওয়া হল। একই সঙ্গে এটাও দাঁড়াচ্ছে যে, বার বার এমন বিভ্রান্তি, ধোঁয়াশা, অস্পষ্টতার জেরে আক্রমণ আরও জোরদার করতে পারে বিরোধীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy