“হ্যালো, জোশী শুনতে পাচ্ছ? যাদব বলছি।” -- গ্রামবাসীদের কাছ থেকে ফোন নিয়ে বায়ুসেনাঘাঁটিতে ফোন করছিলেন পাইলট। গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘিরে রেখেছিলেন। রক্তাক্ত পোশাক। মুখেও আঘাতের চিহ্ন। তাঁকে ক্ষেতের মধ্যে থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন গ্রামবাসীরা।
বৃহস্পতিবার মহড়ার সময় ভেঙে পড়ে ভারতীয় বায়ুসেনার মিরাজ ২০০০ বিমান। গ্বালিয়রের বারহেতা সুনারি গ্রামের কাছে সেটি ভেঙে পড়ে কয়েক টুকরো হয়ে যায়। আগুনও ধরে গিয়েছিল বিমানটিতে। কিন্তু ভেঙে পড়ার মুহূর্তেই পাইলটেরা বিমান ছেড়ে বেরিয়ে আসেন (ইজেক্ট)। তাঁদের মধ্যেই এক জনকে আহত অবস্থায় দেখতে পান গ্রামবাসীরা।
এক গ্রামবাসীর কাছে ফোন চান ওই পাইলট। তার পর গ্বালিয়র বায়ুসেনাঘাঁটিতে এক আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি যাদব বলছি, জোশী। আমাদের বিমান ভেঙে পড়েছে। আমি আর ভোলা স্যর ইজেক্ট করে বেরিয়েছি। নদীর দক্ষিণে কোথাও একটা রয়েছি। বিমান জ্বলছে। ভোলা স্যর আমার থেকে এক কিলোমিটার দূরে পড়েছেন।’’ পাইলট আরও বলেন, ‘‘সম্ভবত বিমানের পশ্চিম দিকে রয়েছি আমি। ভোলা স্যর পূর্ব দিকে।’’
গ্রামবাসীরা পাইলটকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি জানান, খবর পৌঁছে গিয়েছে। এখনই অ্যাম্বুল্যান্স আসছে। তার পরই তিনি গ্রামবাসীদের অনুরোধ করেন অন্য পাইলট কোথায় পড়ে আছেন তাঁর খোঁজ করার জন্য। গ্রামবাসীরা তখন অন্য পাইলটের খোঁজ করা শুরু করেন।
বৃহস্পতিবার গ্বালিয়রের বায়ুসেনাঘাঁটি থেকে উড়েছিল মিরাজ ২০০০ বিমান। রুটিন মহড়া চলছিল। আচমকাই শিবপুরীর কাছে ভেঙে পড়ে বিমানটি। তার পর সেটিতে আগুন ধরে যায়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে বিমানটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে। তবে কী কারণে ভেঙে পড়ল তার তদন্ত শুরু হয়েছে।