অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
আবগারি মামলায় গ্রেফতারির পর অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর আবেদন করে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। শুক্রবার দিল্লি হাই কোর্টে দায়ের হওয়া ওই মামলায় কেন্দ্র এবং দিল্লি সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে কোন আইন বলে গ্রেফতারির পর কেজরীকে মুখ্যমন্ত্রী রাখা হবে।
বৃহস্পতিবার দিল্লি আবগারি ‘দুর্নীতি’ মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন কেজরী। আগেই তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল হাই কোর্ট। শুক্রবার আদালতে ইডি দাবি করেছে, সংশ্লিষ্ট ‘দুর্নীতি’তে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ‘কিংপিন’। বস্তুত, দেশের ইতিহাসে কেজরীওয়ালই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালীন দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। কিছু দিন আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও গ্রেফতার করেছে ইডি। জমি দুর্নীতি মামলায় হেমন্ত ৩১ জানুয়ারি গ্রেফতার হওয়ার আগে তিনি নিজে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে ইস্তফা দেন। তার পর ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। ফলে কেজরীওয়ালের মতো মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকাকালীন হেমন্ত গ্রেফতার হননি। হাই কোর্টে আবেদনকারী বলেছেন, একাধিক সাক্ষাৎকারে দিল্লি বিধানসভার স্পিকার রামনিবাস গয়াল এবং দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী অতিশী মারলেনা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদেই থাকবেন কেজরীওয়াল। প্রয়োজনে জেলে থেকেই সরকার চালাবেন। কিন্তু এমন একটি পদে থেকে সেটা অনুচিত বলে দাবি করেছেন মামলাকারী।
হলফনামায় মামলাকারী এ-ও জানিয়েছেন, আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এমন এক জনকে মুখ্যমন্ত্রিত্বের মতো গুরুত্ব পদে রাখা সমীচীন নয়। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে কেজরীওয়াল যে বেতন নিতেন, তার পরিমাণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারী।
অন্য দিকে, শুক্রবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করানো হলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় ইডি। বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক কাবেরী বাওয়েজার এজলাসে প্রবেশের আগে কেজরীওয়াল বলেন, “আমার জীবন দেশের উদ্দেশে নিবেদিত।” তাঁকেও বলতে শোনা গিয়েছে যে, জেলের ভিতর থেকেও তিনি মানুষের জন্য কাজ করে যাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy