—প্রতীকী চিত্র।
মূক ও বধির এক ব্যক্তির খুনের মামলার সমাধানে সহায়তা করল এক কনস্টেবলের বাক প্রতিবন্ধী পুত্র। গত ৫ অগস্ট দাদার স্টেশনে একটি সুটকেসের ভিতরে এক ব্যক্তির দেহ মেলে। শুরু হয় তদন্ত। জানা যায়, নিহতের নাম ৩০ বছর বয়সি আর্শাদালি সাদিকালি শেখ।
অভিযোগ, খুনের নেপথ্যে রয়েছে প্রেম সংক্রান্ত বিবাদ। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরে আর্শাদালিকে তাঁর দুই বন্ধু জয় প্রবীণ চবডা এবং শিবজিৎ সুরেন্দ্র সিংহ হাতুড়ি দিয়ে মেরে হত্যা করে। এর পরেই ট্রলি ব্যাগে ভরে ১১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নিয়ে যাচ্ছিল জয়। কিন্তু তাঁর গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় এক আরপিএফ কনস্টেবলের। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাগ খোলাতেই উদ্ধার হয় দেহ। এর পরেই তদন্তভার নেয় মুম্বই পুলিশ।
তদন্তের শুরুতেই সমস্যায় পড়ে পুলিশ। কারণ অভিযুক্ত কথা বলতে পারতেন না। এমন সময়েই আরএ কিদোয়াই থানার কনস্টেবল রাজেশ সতপুতে তাঁর ছেলের সাহায্য নেন। উল্লেখ্য, রাজেশের ছেলে গৌরবও (২৩) বাক প্রতিবন্ধী।
রাত ২টো নাগাদ গৌরব বাবার সঙ্গে দাদর স্টেশনে পৌঁছন। এর পরেই পুলিশের প্রশ্ন ‘সাইন ল্যাঙ্গোয়েজের’ মাধ্যমে অভিযুক্তকে জানান গৌরব। এ ভাবেই জেরায় উঠে আসে প্রকৃত তথ্য। জানা যায়, শুধু ধৃত ব্যক্তি নন, আর্শাদালির স্ত্রী ও আর এক বন্ধুও এই খুনে জড়িত। ওই মহিলার প্রতি প্রেমের সুবাদেই আর্শাদালিকে খুন করা হয় বলে তদন্তে উঠে আসে।
তদন্তে সাহায্যের জন্য গৌরবকে সংবর্ধনা দিয়েছেন মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার বিবেক ফাঁসালকর। গৌরবের বাবা জানিয়েছেন, ছেলের কাজে তিনি গর্বিত। কিন্তু ছেলে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসতে চান না। এর পাশাপাশি ওই কনস্টেবল বলেন, “কমিশনার জানিয়েছেন, গৌরব দুর্দান্ত কাজ করেছে। ও আমার একমাত্র ছেলে। দু’টি মেয়েও রয়েছে। তারা কথা বলতে পারে। তবে ছেলের প্রতিবন্ধকতাকে আমি বা স্ত্রী কখনও নেতিবাচক ভাবে দেখিনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy