প্রতীকী ছবি।
বার বার সতর্ক করার পরেও ঠিক মতো মাস্ক না পরলে সেই যাত্রীকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য উড়ান সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিল বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে ভাবে ফের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তার ভিত্তিতে এই নির্দেশিকা জারি করেছে সংস্থাটি। কাল দিল্লি হাইকোর্টও বিমানযাত্রীদের যথাযথভাবে মাস্ক না পরা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ডিজিসিএ এবং সব দেশীয় উড়ান সংস্থার জন্য কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, যে সব ‘অবাধ্য’ যাত্রীরা নিয়ম মানবেন না তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও করা হতে হবে।
ডিজিসিএ-র পর্যবেক্ষণ, বিমানবন্দরে ঢোকার পরে অনেক সময়েই যাত্রীই মাস্ক খুলে ফেলেন। অনেক সময়েই নাকের নীচে থাকে মাস্ক। পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখারও তোয়াক্কা করেন না অনেকে। সংস্থার নির্দেশিকায় বলে হয়েছে, ‘‘সে সব যাত্রী বিমানে ওঠার পরে বার বার সতর্কতা সত্ত্বেও মাস্ক পরেন না, তাঁদের প্রয়োজনে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে বিমান ওড়ার ঠিক আগের মুহূর্তেও। এ ছাড়া, বিমানবন্দরে ঢোকার সময়েই যাতে প্রত্যেকের মুখে ঠিক মতো মাস্ক থাকে, সে বিষয়ে নজর রাখতে বলা হয়েছে সিআইএসএফ ও পুলিশকে। নিয়ম ভাঙলে যে যাত্রীকে তুলে দেওয়া হবে নিরাপত্তা সংস্থার হাতে।
শনিবার দেশে দৈনিক করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা গত ৮৩ দিনে ছিল সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৮৮২ জন। গত ২০ ডিসেম্বরের পরে যা সর্বোচ্চ। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় কোভিড-বিধি মানা এবং দ্রুত টিকাকরণ। করোনা-নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন রাজ্যই রাতে কার্ফু জারির পথে হাঁটছে। শুক্রবার এক বৈঠকের পরে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান জানিয়েছেন, সোমবার বা মঙ্গলবার থেকে ভোপাল এবং ইনদওরে রাত্রিকালীন কার্ফু চালু করা হতে পারে। মহারাষ্ট্রের (রাজ্যগুলির মধ্যে সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে) সীমানায় থাকা জেলাগুলি অর্থাৎ ভোপাল, গ্বালিয়র, জবলপুরে দোকানগুলিকে বিশেষভাবে সুরক্ষাবিধি মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষকে টিকা নেওয়ার জন্য উৎসাহী করতে সতর্ক করতে আরও বেশি প্রচার চালাতে হবে এবং প্রবীণদের টিকাকরণ কেন্দ্রে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
পঞ্জাব সরকারও গত কাল থেকে আরও ৪টি জেলায় রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করেছে এবং সব স্কুলগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট আটটি জেলায় কার্ফু চলছে। পাশাপাশি, সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলির সব ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। তবে স্কুলে আসছেন শিক্ষকেরা। আজ থেকে রাজ্যের সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিও ফের বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তার বদলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন ও অন্যান্য প্রয়োজনী সামগ্রী পৌঁছে দেবেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy