— প্রতীকী ছবি।
এত দিন কখনও লাইনে গরু আবার কখনও ঢিলের ঘায়ে জানালার কাচ ভাঙার কারণে থামতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে। এ বার আজব এক কাণ্ডে থমকাল সেই ট্রেন। তিরুপতি থেকে সেকেন্দরাবাদ যাওয়ার পথে এক যাত্রী শৌচালয়ে ধূমপান করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। বেজে ওঠে ‘ফায়ার অ্যালার্ম’। আগুন লেগেছে ভেবে ছুটে আসেন রেলকর্মীরা। শেষে শৌচালয়ের দরজা ভেঙে দেখা যায়, এক যাত্রী ধূমপান করছেন! তাঁকে আটক করা হয়েছে। এই কাণ্ডের জন্য বেশ কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে।
রেল সূত্রে খবর, তিরুপতি থেকে সেকেন্দরাবাদগামী বন্দে ভারতের সি-১৩ নম্বর কামরায় উঠে পড়েছিলেন এক টিকিটহীন যাত্রী। উঠেই তিনি কামরার শৌচালয়ে নিজেকে বন্দি করে নেন। প্রেস বিবৃতিতে দক্ষিণ-মধ্য রেলের বিজয়ওয়াড়া ডিভিশনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘টিকিট ছাড়া ট্রেনে চড়া যাত্রী তিরুপতি থেকে উঠেছিলেন। ট্রেনে উঠেই তিনি নিজেকে শৌচালয়ে বন্দি করে নেন। তার পর ভিতরে ধূমপান করতেই বেজে ওঠে ‘ফায়ার অ্যালার্ম’। রেল কর্মীরা আগুন লেগেছে ভেবে তড়িঘড়ি ছুটে যান ওই কামরায়। দেখা যায় শৌচালয়ের ভিতর থেকে অ্যালার্ম বাজছে। যাত্রীকে প্রাণে বাঁচাতে শৌচালয়ের দরজা ভেঙে ফেলে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। দেখা যায়, ওই ব্যক্তি শৌচালয়ে ধূমপান করছিলেন। তাতেই বেজে উঠেছিল বিপদঘণ্টি। যাকে আগুন লেগেছে ভেবে ছুটে গিয়েছিলেন রেলকর্মীরা।’’
ট্রেনে ধূমপান নিষিদ্ধ। জানা গিয়েছে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো সেমি-হাইস্পিড ট্রেনের শৌচালয়ে লাগানো আছে ফায়ার অ্যালার্ম। যে অ্যালার্ম ধোঁয়ার সংস্পর্শে এলেই পাউডার জাতীয় ধোঁয়া ছাড়তে শুরু করে। যা আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহার হয়। ওই ব্যক্তি শৌচালয়ে ধূমপান করতেই সেই অ্যালার্ম বেজে ওঠে। তার পরেই হুলস্থুলকাণ্ড।
জানা গিয়েছে, মানুবোলু স্টেশনের কাছে বিকেল পাঁচটা নাগাদ কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়েছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তার পর গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি। অভিযুক্ত ধূমপানকারীকে নেল্লোর স্টেশনে আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy