অগাস্ট থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন পার্থ। সেপ্টেম্বর থেকে ক্রমে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরিস্থিতি জটিল হয়ে দাঁড়ায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২০ ১৪:৪৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
শরীরে বাসা বেঁধেছে বিরল অসুখ। সে কথা জানা গেল পরীক্ষার তিন সপ্তাহ আগে। ভর্তি হতে হল দিল্লির বেসরকারি হাসপাতালে। সবাই ধরে নিয়েছিলেন, আর বসা হবে না পরীক্ষায়।
০২১০
পরিজনদের আশঙ্কা দূর করে জেইই অ্যাডভান্সড পরীক্ষা দিলেন রাজস্থানের পার্থ দ্বিবেদী। ফলপ্রকাশের পরে দেখা গেল মেধাতালিকায় তাঁর স্থান ৩৫।
০৩১০
পার্থর বাবা মা দু’জনেই কাজের সূত্রে লখনউবাসী। তাঁর মা নীতি লখনউ পুলিশের এএসপি বা অ্যাডিশনাল সুপার। বাবা, বিনীত দ্বিবেদী ভারতীয় রেলের আধিকারিক।
০৪১০
কিন্তু অগাস্ট থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন পার্থ। সেপ্টেম্বর থেকে ক্রমে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরিস্থিতি জটিল হয়ে দাঁড়ায়।
০৫১০
জেইই অ্যাডভান্সড পরীক্ষার তিন সপ্তাহ আগে ধরা পড়ল পার্থ আক্রান্ত মস্তিষ্কের দুরারোগ্য অসুখ মেনিংগোএনসেফ্যালাইটিস-এ।
০৬১০
হাসপাতালে আইসিইউ ওয়ার্ডে প্রথমে পার্থকে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসায় সাড়া মিলতে তাঁকে পাঠানো হয় অন্য ওয়ার্ডে।
০৭১০
অসুস্থ হলেও পরীক্ষায় বসার ইচ্ছে থেকে দমানো যায়নি পার্থকে। চিকিৎসদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে একদিনের ছুটি পান হাসপাতাল থেকে।
০৮১০
পরীক্ষাও দেন অসুস্থতা নিয়েই। ফলপ্রকাশের পরে দেখা গেল, দুরারোগ্য অসুখও হার মেনেছে পার্থর মনোবলের কাছে।
০৯১০
এক মাস হাসপাতালে চিকিৎসার পরে পার্থর বাড়ি ফেরার আনন্দ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে পরীক্ষার দুর্দান্ত ফলে।
১০১০
ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত দ্বিবেদী পরিবার। বম্বে আইআইটি-তে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়তে চান পার্থ। তবে ভবিষ্যতে তাঁর ইচ্ছে, ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল হয়ে মায়ের মতো প্রশাসনিক দায়িত্বে শামিল হওয়া।