বিরোধীদের প্রতিবাদে অচল সংসদের অধিবেশন।
বাজেট অধিবেশনের এই পর্বের দ্বিতীয় দিনেও কার্যত অচল থাকল সংসদ। পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনায় সরকার পক্ষ রাজি না-হওয়ায় দু’টি কক্ষই চলতে দিলেন না বিরোধীরা। কংগ্রেসের নেতৃত্বে হট্টগোলে শামিল হল অন্য বিরোধী দলগুলিও। তবে সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনায় সরকার রাজি না-হলেও, আগামিকাল সর্বসম্মতিক্রমে সংসদ চলার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সঙ্গে কথা হয়েছে স্পিকারের। তবে আগামিকাল তৃণমূলের সাংসদেরা রাজ্যে ফিরে যাবেন।
আজ রাজ্যসভায় পরিকল্পনা ছিল, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ একটি সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করার পরে বিভিন্ন দলের নেতারা তা নিয়ে কিছু বলবেন। আসনে ছিলেন ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ। কিন্তু বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবি করে যেতে থাকেন। তাঁর দাবি, পেট্রল-ডিজেলের দাম ২০১৩-১৪-র পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। খড়্গের বক্তব্য, গোটা দেশ এই মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভুগছে। অত্যাবশ্যক পণ্যের বাজারে আগুন। অতি অবশ্যই সংসদের উচিত, বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে আলোচনা করা।
সকালেই এই নিয়ে আলোচনার জন্য অন্যান্য কর্মসূচি মুলতুবি রাখার প্রস্তাবের নোটিস দিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু গত কালের মতোই তা গ্রাহ্য করা হয়নি। আজ খড়্গের আবেদনে হরিবংশ বলেন, যে-হেতু রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ইতিমধ্যেই নোটিস খারিজ করে দিয়েছেন, ফলে তা আর অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব নয়। এর পরে তিনি আরজেডি-র মনোজ ঝাকে পূর্বোক্ত সংবিধান সংশোধনী বিলটি নিয়ে বলতে বলেন। ঝা জানান, এই চিৎকার-চেঁচামেচির মধ্যে বলা সম্ভব নয়। তত ক্ষণে ওয়েলে গিয়েও স্লোগান দিতে থাকেন বিরোধী সাংসদেরা। প্রবীণ কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা চিৎকার করে বলতে থাকেন, সংসদের ঐতিহ্য অনুযায়ী, বিরোধীরা যখন কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার দাবি করছে, তখন কোনও সরকারি বিল আনা যায় না। তাঁর কথায়, ‘‘এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্য যে, বারবার সংসদের রীতি-রেওয়াজ ভাঙা হচ্ছে। যখন বিরোধী পক্ষ কোনও বিষয় উত্থাপন করতে চাইছে, সরকারের তখন উচিত নয় নতুন কর্মসূচি আনা। প্রথমে বিরোধীদের তোলা প্রশ্নের জবাব দেওয়া উচিত। বিরোধীদের অধিকার রয়েছে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার।’’ শোরগোল আরও বাড়লে গোটা দিনের জন্যই রাজ্যসভা মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
একই ভাবে লোকসভায় সকাল থেকেই বিরোধীরা জ্বালানির দাম নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরব হয়। চিৎকারের মধ্যেই সরকারের বেশ কিছু কাগজ পেশ করা হয়। কংগ্রেসের সঙ্গে গলা মেলান তৃণমূল এবং ডিএমকে-র সাংসদরাও। কয়েক দফায় বন্ধ করার পরে গোটা দিনের জন্যই অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
আজ দিনের শেষে স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের সৌগত রায়, এনসিপি-র সুপ্রিয়া সুলে, বিএসপি-র রীতেশ পাণ্ডের মতো সাংসদেরা। গত মাসে মুম্বইয়ের হোটেলে দাদরা নগর হাভেলির সাংসদ মোহন দেলকরের আত্মহত্যার ঘটনার তদন্ত করার আবেদন জানান তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy