Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Pune Porsche Crash

পুণেতে নয়, মধ্যপ্রদেশে বিচার হোক, নজরদারি চালাক সুপ্রিম কোর্ট, দাবি পোর্শেকাণ্ডে মৃতদের পরিবারের

অভিযুক্ত কিশোরকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়। গ্রেফতার করা হয় তাঁর বাবা, ঠাকুরদাকে। ঘটনার দিন কে গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে।

Parents of Pune Porsche crash victims demand Supreme Court-monitored probe

— ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৪ ১১:০৫
Share: Save:

সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়া চলুক, এমনই দাবি করলেন পুণে পোর্শেকাণ্ডে সন্তানহারা বাবা-মায়েরা। পাশাপাশি আরও দাবি করা হয়েছে, মামলার বিচারপ্রক্রিয়া মহারাষ্ট্রে নয়, মধ্যপ্রদেশে হোক। মৃতরা যেহেতু মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা, তাই এমন দাবি পরিবারের।

গত রবিবার, দ্বাদশের পরীক্ষার ফল ভাল হওয়ায় উদ্‌যাপন করতে বিলাসবহুল পোর্শে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিল অভিযুক্ত কিশোর। স্থানীয় একটি পানশালায় গিয়েছিল সে। সেখানে মদ্যপান করে। তার পর মত্ত অবস্থায় ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে পোর্শে চালাচ্ছিল সে। কল্যাণী নগর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই ইঞ্জিনিয়ারের বাইকে ধাক্কা মেরে পিষে দেয়। সেই ঘটনাতেই অনীশ এবং অশ্বিনী কোষ্টার মৃত্যু হয়েছে। অনীশ মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের এবং অশ্বিনী উমারিয়ার বাসিন্দা ছিলেন। কর্মসূত্রে পুণেতে থাকতেন তাঁরা।

সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় অশ্বিনীর বাবা সুরেশকুমার বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের উচিত এই মামলার তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা, যাতে আমরা ন্যায়বিচার পাই।’’ তিনি আরও জানান, অপরাধের গুরুত্ব, প্রকৃতি বিবেচনা করে অভিযুক্তের বিচার হওয়া উচিত। সে নাবালক কি প্রাপ্তবয়স্ক, তা বিবেচনা করা ঠিক নয়। ‘‘আমি আমার শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করব’’, পুত্র হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললেন অনীশের বাবা ওমপ্রকাশ। তিনি মনে করেন, পরিবারের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পুণেতে নয়, মধ্যপ্রদেশে বিচার হওয়ায় উচিত।

অভিযুক্ত কিশোরকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়। গ্রেফতার করা হয় তাঁর বাবা, ঠাকুরদাকে। ঘটনার দিন কে গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন, তা নিয়ে ধন্দ দেখা দিয়েছে। পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্ত কিশোরের বাবা তথা ইমারতি ব্যবসায়ী বিশাল আগরওয়াল পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর নাবালক পুত্র নয়, দুর্ঘটনার সময় পোর্শের চালকের আসনে ছিলেন তাঁদেরই গাড়িচালক। বিশালের বক্তব্যকে সমর্থন করেছিল অভিযুক্ত কিশোরের দুই বন্ধু। তাদের দাবি, ঘটনার সময় তারাও গাড়িতে ছিল। এই দাবি নিয়ে যখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে, তখন ওই গাড়ি চালকের মুখে শোনা গেল অন্য কথা। বিশালের পারিবারিক ওই গাড়িচালকের দাবি, নাবালক পুত্রকে পোর্শে চালাতে অনুমতি দিয়েছিলেন তার বাবাই। এমনকি বিশাল তাঁকে বলেছিলেন, ‘ওকে চালাতে দাও’। কিছুটা চাপে পড়েই কিশোরকে স্টিয়ারিং ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি গাড়িচালকের। পুলিশ এই বিষয়টাও খতিয়ে দেখছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Pune Supreme Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy