অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলছেন জেলাশাসক। ছবি: সংগৃহীত।
নিচু জাতের মহিলা রান্না করেছেন। তাই খাবার খেতে রাজি হলেন না স্কুলপড়ুয়াদের একাংশ। তামিলনাড়ুর কারুর জেলার একটি স্কুলের এই ঘটনাকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। জাতিবৈষম্যের অভিযোগ পেয়েই স্কুলে আসেন জেলাশাসক টি প্রভু শঙ্কর। তিনি খাবার খেতে অনিচ্ছুক পডুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন। জানান যে, ওই পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা ছেলেমেয়েদের খাবার খেতে নিষেধ করলে তফসিলি জাতি-জনজাতি আইনে মামলা রুজু করা হবে।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন ধরেই খাবার খেতে রাজি হচ্ছিলেন না ১৫ জন পড়ুয়া। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে ওই পড়ুয়াদের খাবার খেতে না চাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়। তখন ওই পড়ুয়ারা জানায়, সুমাথি নামের যে মহিলা তাদের জন্য রান্না করেন, তিনি নিচু জাতের মানুষ। তাই তারা ওই মহিলার হাতের রান্না খাবে না। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমাথি দলিত সম্প্রদায়ভুক্ত।
ওই পড়ুয়াদের অভিভাবকদের বক্তব্য, স্কুল যদি অন্য কাউকে রান্নার জন্য নিযুক্ত না করে, তবে তাঁরা ছেলেমেয়েদের অন্য স্কুলে ভর্তি করাতে বাধ্য হবেন। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলটির নাম ভেলান চেট্টিয়ার পঞ্চায়েত ইউনিয়ন স্কুল। মোট ৩০ জুন পড়ুয়া পড়েন প্রাথমিক স্তরের ওই স্কুলটিতে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, অভিভাবকেরা বারণ করায় খাবার খেতে চাইছেন না ওই ১৫ জন পড়ুয়া। উল্লেখ্য যে, প্রাথমিক স্তরে প্রায় ১৬ লক্ষ পড়ুয়াকে বিনামূল্যে সকালের খাবার দেওয়া হয় তামিলনাড়ুতে। গত ২৫ অগস্ট এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy