মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।—ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের পালঘরে দুই সাধু ও তাঁদের ড্রাইভারকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় কোনও সাম্প্রদায়িক সংঘাতের বিষয় নেই বলে দাবি করলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। সেই সঙ্গেই জানিয়ে দিলেন, ধৃত ১০১ জনের মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের এক জনও নেই।
পালঘরের হত্যাকে নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ এনে আজ বিরোধীদের নিশানা করছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ফেসবুক পোস্টে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এটা রাজনীতি করার সময় নয়। বরং করোনা সংক্রমণ আটকাতে একসঙ্গে লড়ার সময়। তবে কেউ কেউ রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরে আসতে মুঙ্গেরিলালের মতো দিবাস্বপ্ন দেখছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।’’
গত ১৬ এপ্রিল পালঘর জেলার গাঢ়চিনচালের গ্রামবাসীরা ছেলেধরা সন্দেহে গাড়ি থামিয়ে দুই সাধু ও তাঁদের ড্রাইভারকে পিটিয়ে মারে। হত্যার পিছনে গুজব কাজ করেছিল যে সেই রাতেই গ্রামের শিশুদের চুরি করে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। দেশমুখ জানিয়েছেন, সিআইডি গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। তবে পালঘরের ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিও উঠতে শুরু করেছে। বম্বে হাইকোর্টে এ নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে।
দেশমুখ জানিয়েছেন, খুনের পরেই গ্রামবাসীরা জঙ্গলে পালিয়ে যান। কিন্তু ঘটনার আট ঘণ্টার মধ্যেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। তাঁর মন্তব্য,‘‘গ্রেফতার হওয়া ওই ১০১ জনের মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের কোনও ভাইবোন নেই। দয়া করে কেউ এই ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রং দেবেন না।’’ জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনও আজ অভিযোগ করেছে, দেশে করোনা মোকাবিলার সময়েই পালঘরের ঘটনাকে নিয়ে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সংগঠন এই হত্যার ঘটনার নিন্দা করেছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy