Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪
Narendra Modi

প্রধানমন্ত্রীর সভায় পরা যাবে না কালো পোশাক! নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

এই নির্দেশ অনুসারে কালো রঙের জামা, প্যান্ট, চাদর, মাফলার পরে আসতে পারবেন না।আনা যাবে না কালো রঙের ব্যাগও। তবে কালো জুতোর ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

এক অনুষ্ঠানে কালো পোশাক পরেছেন মোদী। ছবি পিটিআইয়ের সৌজন্যে।

এক অনুষ্ঠানে কালো পোশাক পরেছেন মোদী। ছবি পিটিআইয়ের সৌজন্যে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৯ ১৩:৪৬
Share: Save:

ঝাড়খণ্ডের পালা‌মৌ জেলায় মণ্ডলবাঁধ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগামী ৫ জানুয়ারি সেখানে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তাঁর আগে পালামৌর পুলিশ সুপারের জারি করা একটি নির্দেশিকা নিয়ে ছড়াল বিতর্ক। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কালো রঙের কোনও ধরনের পোশাক পরেই আসা যাবে না প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে।

২৯ ডিসেম্বর এই নির্দেশিকাটি জারি করেছেন পালামৌর এসপি ইন্দ্রজিত্ মাহাত। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী ৫ জানুয়ারি জেলায় আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যারা আসবেন তাদেরকে আগাম জানানো হচ্ছেসভায় কালো পোশাক পরে যেন কেউ না আসেন। প্রত্যেকে নিজের পরিচয়পত্রও সঙ্গে রাখবেন।’

এই নির্দেশ অনুসারে কালো রঙের জামা, প্যান্ট, চাদর, মাফলার পরে আসতে পারবেন না।আনা যাবে না কালো রঙের ব্যাগও। তবে কালো জুতোর ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

কাজে স্থায়ীকরণ ও সরকারি শিক্ষকদের সমতুল্য মাইনের দাবিতে ঝাড়খণ্ডে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে পার্শ্বশিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠন। গত মাসে রাঁচিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের একটি অনুষ্ঠানেও কালো পতাকা দেখিয়েছিলেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর সফরে যাতে এ রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্যই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।

আরও পড়ুন: ১৯ দিন পর মেঘালয়ের খনির তলদেশে ডুবুবি! উদ্ধারের চূড়ান্ত তৎপরতা শুরু

যদিও পালামৌর এসপি ইন্দ্রজিত্ মাহাত এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেছেন, ‘‘অতিথির মর্যাদা বজায় রাখতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

তবে মোদীর সভায় কালো পোশাকের উপর বিধিনিষেধ এই প্রথম নয়। এর আগেও একই বিতর্ক উঠেছিল রাজস্থান ও গুজরাতে প্রধানমন্ত্রীর সভায়। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে জয়পুরের এক সভায় কালো জামা পরে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সভায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি বেশ কিছু দর্শককে। ২০১৭ সালের মে-তেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল গুজরাতের গাঁধীধামে পোর্ট ট্রাস্টের এক অনুষ্ঠানে। সে বার কালো পোশাক পরে আসার জন্য ঢুকতে দেওয়া হয়নি এক সাংবাদিককে। সাধারণ মানুষ নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে কালো পোশাক জমা রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন।

পালামৌ ও ঘারয়া জেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে কোয়েল নদী। এই নদীর উপরেই ওই বাঁধের প্রকল্প শুরু হয়েছিল ১৯৭২ সালে। ১৯৯৩ সালে বিহার সরকারের বন বিভাগের আপত্তিতে বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পের কাজ। ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা প্রকল্পের কাজ শেষ করার আবেদন অনুমোদন করে।

আরও পড়ুন: তিন তালাক: মোদীর পাশে নেই মিত্রেরাও

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy