নিহতদের থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রশস্ত্র। ছবি: পিটিআই।
পঞ্জাব সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হল ৫ সশস্ত্র পাক অনুপ্রবেশকারী। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, নিহতদের থেকে ন’টি প্যাকেটে ভরা প্রায় ১০ কেজি হেরোইন উদ্ধার হয়েছে। তা ছাড়াও, একটি একে ৪৭ রাইফেল ও কার্তুজ-সহ প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ছিল তাদের কাছে। দু’টি মোবাইল ফোন ও পাকিস্তানি মুদ্রায় ৬১০ টাকা ছিল সঙ্গে।
আজ ভোরে তর্ণতারণ জেলার ডাল বর্ডার পোস্টের কাছে বিএসএফের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় অনুপ্রবেশকারীদের। ওই এলাকা পাহারার দায়িত্বে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১০৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ন। বিএসএফের এক মুখপাত্র জানান, গত কাল মধ্য রাতে প্রথম সীমান্তের কাছে সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে আসে তাদের। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন জওয়ানেরা। তাতে কান না-দিয়ে গুলি চালাতে শুরু করে পাঁচ জন। ওই মুখপাত্রের বক্তব্য, ‘‘আত্মরক্ষার্থে তখন পাল্টা গুলি চালায় জওয়ানেরাও। তাতেই নিহত হয় পাঁচ পাক অনুপ্রবেশকারী।’’ বিএসএফের ইনস্পেক্টর জেনারেল (পঞ্জাব) মণিপাল সিংহ সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে পাঁচ পাক অনুপ্রবেশকারীর ভারতের ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা প্রতিহত করেছে বিএসএফ।’’ তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ শুরু হয় সংঘর্ষ। সকালে তল্লাশির পরে প্রথমে দু’টি দেহ উদ্ধার হয়। পরে বাকি তিনটি। স্থানীয় পুলিশের হাতে দেহগুলি তুলে দেওয়া হয়েছে। মোবাইল ফোনের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্য এক বিএসএফ জওয়ান জানান, সংঘর্ষ শুরু হয় ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ। প্রথমে সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে ‘নির্দিষ্ট নিশানায়’ নজরদারি শুরু করেন তাঁরা। ভোরের দিকে গোলাগুলি শুরু হয়। তিনি জানান, সীমান্তে বড় বড় ঘাসের আড়ালে গা ঢাকা দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল ওই পাঁচ জন। বিএসএফ জানিয়েছে, বিগত এক দশকে ভারত-পাক সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে এক দিনে এত বড় সাফল্য পায়নি তারা। নিহতদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এ দিকে, আজ জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলা জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় এক জঙ্গি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy