পহেলগাঁও কাণ্ডের পর সন্ধ্যা নামলেই নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ভারতীয় সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে পাক সেনা। রবিবার রাতেও তার ব্যতিক্রম হল না। গভীর রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ এবং কুপওয়ারা জেলায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।
সোমবার ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাতে এবং সোমবার ভোরে পাক সেনাঘাঁটি থেকে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, গত তিন দিন ধরেই নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে গুলি চালানো অব্যাহত রেখেছে পাকিস্তান। তবে পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পুঞ্চ জেলায় এই ধরনের ঘটনা প্রথম। এর আগে টুটমারি গলি এবং রামপুর সেক্টর এলাকায় একই ঘটনা ঘটিয়েছে পাকিস্তান। গুলির জবাব গুলি দিয়েই দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীও।
মনে করা হচ্ছে জঙ্গিদের নিরাপদে পাকিস্তানে ফিরিয়ে নিয়ে যেতেই এই কৌশল অবলম্বন করছে ইসলামাবাদ। নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি চালিয়ে ভারতীয় সেনাকে ব্যতিব্যস্ত রেখে মুহূর্তের অসতর্কতায় নজর এড়িয়ে জঙ্গিদের ফিরিয়ে নিতে চাইছে। তবে এমন কৌশলের কথা মাথায় রেখে সজাগ রয়েছে ভারতীয় সেনাও।
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। তাতে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ করে নয়াদিল্লি। স্থগিত করে দেওয়া হয় সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি। এর পর পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ হিসাবে বন্ধ করে দেয় বাণিজ্য। শিমলা চুক্তি স্থগিত করার হুঁশিয়ারিও দেয় ইসলামাবাদ। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের এই ঘোষণার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন:
শিমলা চুক্তি স্থগিত করে দেওয়ার অর্থ নিয়ন্ত্রণরেখাকে মান্য সীমান্ত হিসাবে অস্বীকার করা এবং সংঘর্ষবিরতিকে কার্যত অবজ্ঞা করা। পাকিস্তান বার বার এই চুক্তির শর্তগুলি লঙ্ঘন করেছে। আনুষ্ঠানিক ভাবে চুক্তি স্থগিতের কথা ঘোষণা করলে এই ধরনের কার্যকলাপ ইসলামাবাদ আরও বৃদ্ধি করবে বলেই মনে করছে নয়াদিল্লি।