২০২৩ সালে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল পহেলগাঁও হামলার মূল চক্রী হাশিম মুসা। এমনটাই সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, ভারতে অনুপ্রবেশের পর জম্মু-কাশ্মীরের বদগাঁও হয়ে ওঠে তার ঠিকানা। সেখান থেকেই মুসা জঙ্গি কার্যকলাপ পরিচালনা করত বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। সূত্রের খবর, পাক সেনার স্পেশ্যাল ফোর্সের প্যারাকমান্ডো ছিল মুসা। কিন্তু পাক সেনা থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। সেনায় থাকাকালীন আসিফ ফৌজি নামে পরিচিত ছিল মুসা। আর এখান থেকেই তদন্তকারীদের সন্দেহ, নাম পরিচয় গোপন রেখেই ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপ পরিচালনা করত এই পাক জঙ্গি।
সূত্রের খবর, পাক থেকে বহিষ্কারের পর লশকর জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ হয় মুসার। পাক সেনায় যেহেতু প্যারাকমান্ডো ছিল, তাই সেই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে মুসাকে জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য ভারতে পাঠায় লশকর। ঘটনাচক্রে, গত বছরে পর পর দু’টি হামলা হয় জম্মু-কাশ্মীরের গান্ডেরবাল এবং বারামুলায়। তদন্তকারী সূত্রে খবর, সেই হামলার নেপথ্যেও ছিল মুসা। সূত্রের খবর, কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের পর স্থানীয়দের জঙ্গিদলে যোগদানে উৎসাহ দেওয়া, জঙ্গিদলে নিয়োগের দায়িত্বও ছিল মুসার উপর।
আরও পড়ুন:
তদন্তকারীদের একটি সূত্র বলছে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ যে চার জঙ্গিকে চিহ্নিত করেছে, তাদের মধ্যে আলি ভাই ওরফে তালহা, আসিফ ফৌজি ওরফে হাশিম মুসা, এই দু’জন পাক জঙ্গি। আদিল ঠোকর এবং আশান নামে দুই জঙ্গি স্থানীয়। সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ে হামলার আগে জঙ্গিরা ‘কোড নাম’ ব্যবহার করেছিল। মুসা, ইউনুস এবং আসিফ নামে তারা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। এই তিন জন হল, আসিফ ফৌজি (মুসা), সুলেমান শাহ (ইউনুস) এবং আবু তালহা (আসিফ)। এই তিন জন পুঞ্চে সক্রিয় ছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ওই অঞ্চলে যে জঙ্গি হামলা হয়েছে আগে, তার সঙ্গে এই তিন জনের যোগ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।