সংসদের নিরাপত্তা আরও বৃদ্ধি হল। — ফাইল চিত্র।
সংসদের নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করতে চলেছে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ)। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা উন্নত করতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, আরও ২৫০ জন সিআইএসএফ কর্মী সংসদের নিরাপত্তায় দায়িত্বে আনা হচ্ছে।
গত বছর ডিসেম্বরে রংবোমা হামলার ঘটনার পর থেকেই সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সংসদের নিরাপত্তার দায়িত্বে দিল্লি পুলিশকে সরিয়ে সিআইএসএফ-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অতীতে সংসদ ভবন চত্বরের নিরাপত্তার মূল দায়িত্বে থাকত দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ দল। আর এক কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের একটি দল সংসদ চত্বর লাগোয়া বাইরের অঞ্চলের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। এ ছাড়াও আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য দমকল আর সিআইএসএফের ইউনিট থাকত সংসদ ভবন চত্বরে। সংসদের সুরক্ষা সংক্রান্ত নজরদারির দায়িত্বে ছিল দিল্লি পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ইন্টেলিজেন্স উইং)।
তবে ১৩ ডিসেম্বর রংবোমা হানার ঘটনার পরই সংসদ ভবন চত্বরের নিরাপত্তার মূল দায়িত্বে আনা হয় সিআইএসএফ-কে। এ বার সেই নিরাপত্তা আরও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সিআইএসএফ-এর ডিরেক্টর নিনা সিংহ এই বাড়তি নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনায় অনুমোদন দিয়েছেন। জানুয়ারি মাসে সংসদের নির্দিষ্ট প্রবেশ এবং বাহির গেটে ১৪০ জন সিআইএসএফ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন কক্ষের পথে মোট চারটি বলয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। সেই চার স্তরের নিরাপত্তা পেরিয়েই ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর লোকসভায় ঢুকে দর্শক আসন থেকে ফ্লোরে ঝাঁপ দিয়েছিলেন সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি। ছুড়েছিলেন ‘ক্যানিস্টার সেল’। কিন্তু চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়ের কোথাওই তাঁদের জুতোয় লুকিয়ে রাখা রংবোমার অস্তিত্ব ধরা পড়েনি। ঠিক একই সময় সংসদ ভবনের বাইরের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে ঢুকে রংবোমা নিয়ে ‘তানাশাহি নেহি চলেগা’ স্লোগান তুলেছিলেন অমল শিন্ডে এবং নীলম আজাদ। এই ঘটনায় ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy