এই কারখানা থেকেই উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদক। ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লিতে ৫৬০০ কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর থেকেই সেই সূত্র ধরে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে অভিযান শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধারের ঘটনায় যখন শোরগোল চলছে, ঠিক তখনই আরও দুই রাজ্যে কোটি কোটি টাকার মাদক উদ্ধারের ঘটনা প্রকাশ্যে এল।
মধ্যপ্রদেশের ভোপালে একটি কারখানায় অভিযান চালায় দিল্লির মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি) এবং গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস)। সেই যৌথ অভিযানে কারখানার ভিতর থেকে ১৮১৪ কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করে তারা। রবিবার বিষয়টি জানিয়েছেন গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কারখানার আড়ালে মাদক তৈরি করে সেগুলি পাচার করা হচ্ছিল। কোথায় পাচার করা হত, আর কোনও কারখানায় মাদক তৈরি করা হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখছে গুজরাত এবং দিল্লি পুলিশ। অন্য দিকে, পঞ্জাবেও অভিযানে গিয়েছে দিল্লি পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অমৃতসরে যায় তারা। গত ৪ অক্টোবর দিল্লির মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন অমৃতসরেরই ব্যক্তি জিতেন্দ্র পাল সিংহ। তাঁকে জেরা করেই অমৃতসরে মাদকের ভান্ডারের খোঁজ পায় পুলিশ। অমৃতসরের একটি গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় একটি বাড়ি থেকে ১০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার হয়। সঙ্গে একটি বিলাসবহুল গাড়িও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। তবে এখান থেকে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি তদন্তকারীরা।
দিল্লির মাদককাণ্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই চক্রের মূল পান্ডা বীরেন্দ্র বাসোয়াকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বীরেন্দ্র দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাইল্যান্ডের ফুকেত থেকে গাঁজা আনা হয়েছিল বিমানে। আবার পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলি থেকে আনা হয়েছিল কোকেন। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন হয়েছে। বিপুল পরিমাণ এই মাদক বিভিন্ন অনুষ্ঠান, রেভ পার্টি এবং বিভিন্ন মেট্রোপলিটান শহরগুলিতে সরবরাহ করা হত। এই চক্রের সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগও রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy