কানাডায় বসেই মুম্বইয়ের এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ছক কষা হয়েছিল। আর সেখান থেকেই সিদ্দিকিকে খুনের নির্দেশ দিয়েছিলেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের ভাই আনমোল। ধৃতদের জেরা করে এমনই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি মুম্বই পুলিশের। সিদ্দিকি খুনে এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, দুই অভিযুক্ত রামফুল কানোজিয়া এবং নিতিন সাপ্রেকে জেরা করে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সুজিত সুশীল সিংহ ওরফে ডাব্বুকে খুনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন আনমোল। সূত্রের খবর, ডাব্বু রাজস্থান থেকে অস্ত্র জোগাড় করেন। শুধু তা-ই নয়, শুটারদের জন্য অর্থের ব্যবস্থাও করে দেন তিনি। জেরায় পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, শুটারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সিদ্দিকির বাড়ি এবং তার আশপাশের এলাকা ভাল ভাবে রেকি করতে। সেই নির্দেশ মেনে শুটাররা সিদ্দিকিকে খুনের আগে এক মাস ধরে রেকি করে।
আরও পড়ুন:
তদন্তকারীদের সন্দেহ, যে হেতু শুটাররা সিদ্দিকিকে চিনত না, তাই তাদের কাছে এনসিপি নেতা এবং তাঁর পুত্র জিশানের ছবি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন আনমোল। স্ন্যাপচ্যাটের মাধ্যমে শুটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন আনমোল। ১৮টি অপরাধের মামলা রয়েছে আনমোলের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করেছে ১০ লক্ষ টাকা। গত এপ্রিলে অভিনেতা সলমন খানের বান্দ্রার বাসভবনের সমানে গুলি করার ঘটনার দায়িত্ব নিয়ে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টও করেছিলেন আনমোল। পুলিশের খাতায় আনমোলকে পলাতক হিসাবেই দেখানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ অক্টোবর পুত্র জিশানের কার্যালয়ের সামনে খুন হন সিদ্দিকি। এনসিপি নেতা খুনে তার পর এক এক করে ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও আনমোলের এখনও কোনও হদিস পায়নি পুলিশ।