প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন দুই সেনা এবং এক পুলিশকর্তা। আর একই দিনে জি২০ সম্মেলনের সাফল্য উদ্যাপনে মহা ধুমধামে পুষ্পবৃষ্টি করে নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে স্বাগত জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এই বৈপরীত্যকে সামনে রেখেই আজ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ-এর মতো বিরোধী দলগুলি।
৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের সময় থেকে মোদী প্রশাসন দাবি করে আসছে যে, কাশ্মীরে শান্তি ফিরেছে। কংগ্রেস নেতা পবন খেরার কথায়, “এই সরকার শুধুমাত্র প্রচার অনুষ্ঠান আর খবরের শিরোনাম তৈরি করায় বেশি উৎসাহী। শান্তি তো কোনও প্রচার অনুষ্ঠানে ফেরানো যায় না, তার কোনও শিরোনামও হয় না। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা তো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপূরক হতে পারে না। এটা ঘটনা যে, কাশ্মীরের পরিস্থিতি আদৌ স্বাভাবিক নয়।”
তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন সরাসরি আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁর কথায়, “আমাদের শহিদদের জন্য এক মুহূর্তের নীরবতা নেই। অথচ প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্য গাঁদা ফুল রয়েছে। মোদীর হৃদয় পাথরে তৈরি।” তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে সমাজমাধ্যমে দীর্ঘ পোস্টে লেখেন, ‘মোদী নির্লজ্জ ভাবে উদ্যাপন করছেন, আর আমাদের সাহসী বীরেরা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করছেন। গত কাল জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে আমাদের সাহসী ডিএসপি হুমায়ুন ভাট, মেজর আশিস ধনচক এবং কর্নেল মনপ্রীত সিংহ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জীবন দিয়েছেন। এই বীরদের জীবন উৎসর্গের খবর আসার পরেও প্রধানমন্ত্রী মোদী গত কাল বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে জি২০-র জন্য উদ্যাপন করেছেন।’
আপ-এর নেতা সঞ্জয় সিংহ দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমরা দাবি করছি, নিহতদের পরিবারের সব দায়িত্ব যেন সরকার নেয়। পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে যেন যথাসম্ভব সাহায্য করে।” সঞ্জয় অবশ্য পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের যোগ্য জবাব দেওয়ার বিষয়টিতেও জোর দিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘সরকার যদি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ না করে, তা হলে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে আমরা বিষয়টি তুলব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy